সিলেটে সিমকার্ড বিক্রেতা এক নারীকে হেনস্তা ও লাঞ্ছিত করার ঘটনায় সাংবাদিক পরিচয়ধারী মামুন আহমদ চৌধুরীসহ দুইজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। গত শনিবার সিলেট মহানগর পুলিশের শাহপরাণ থানায় এ অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী ওই তরুণী। অভিযুক্ত মামুন সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার ঝিঙাবাড়ি দলইমাটি এলাকার মৃত হরমুজ আলীর ছেলে। বর্তমানে নগরের মেজরটিলা নিপবন আবাসিক এলাকার বাসিন্দা। মামুন নিজেকে আধুনিক টিভি নামে একটি ফেসবুক পেইজের সাংবাদিক দাবি করে।
অভিযোগে অপর ব্যক্তি হলেন শাহজালাল উপশহর এলাকার মিলাদ আহমদ। ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ৩১ অক্টোবর সন্ধ্যায় শাহজালাল উপশহর এলাকাস্থ হাট রেস্টুরেন্টের সামনে সিমকার্ড বিক্রয় করার সময় মামুন ও মিলাদ তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন ও ব্যবসায়িক জিনিসপত্র ভেঙে দেন। এসময় তাকে হুমকিধমকি দেন। অভিযোগে আরো উল্লেখ করেন, বিগত কয়েক দিন ধরে মিলাদ তাকে ওই স্থানে বসে ব্যবসা না করার জন্য একাধিক ফন্দি কৌশল অবলম্বন করেন।
নানাভাবে হয়রানি করেও আসছিলো। গত ৩১ অক্টোবর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মিলাদের পরামর্শে মামুন একটি ক্যামেরা নিয়ে এসে তার সামনে দাঁড়ান। এসময় মামুন নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে উল্টাপাল্টা কথা বলে মান-সম্মান হেয়প্রতিপন্ন করে। তখন ভুক্তভোগী এসবের প্রতিবাদ করলে মামুন তাকে চড়-থাপ্পর মারতে থাকে এবং মিলাদ তার ব্যবসার ছাতা ও চেয়ার পার্শ্ববর্তী খালে ফেলে দেয়।
অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়, এ ঘটনার পর ভুক্তভোগী নারী আইনের আশ্রয় নিতে গাড়িতে উঠলে অভিযুক্তরা কয়েকবার তাকে টানা-হেঁছড়া করে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেয়।
এসময় তাকে হুমকি দিয়ে বলা হয়- আর এই স্থানে ব্যবসা করতে দেখলে এসিড নিক্ষেপ করা হবে। পুরো ঘটনার ধারণ করা ভিডিও আধুনিক টিভি নামে একটি ফেসবুক পেজে আপলোড করে তার মানসম্মান ক্ষুণ্ণ করা হয়।
সিলেট মহানগর পুলিশের শাহপরাণ (র.) থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য জানান, এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। শুনেছি তারা নাকি সমঝোতায় যেতে চাচ্ছে। আমরা আইনি ব্যবস্থা নেব।
