ঢাকা ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি তিতুমীর কলেজ শিক্ষার্থীদের

দাবি না মানা পর্যন্ত চলবে ‘বারাসাত ব্যারিকেড’ আন্দোলন

দাবি না মানা পর্যন্ত চলবে ‘বারাসাত ব্যারিকেড’ আন্দোলন

রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজকে অধিভুক্তির বেড়াজাল থেকে মুক্ত করে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরে কমিশন গঠনের দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে শিক্ষার্থীরা। ‘তিতুমীর ঐক্য’র ব্যানারে সাধারণ শিক্ষার্থীরা গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১১টায় ক্যাম্পাসের প্রধান ফটক থেকে মিছিল নিয়ে মহাখালী টিবি গেট হয়ে আমতলীতে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন। এরপর সকাল সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত দীর্ঘ ২৭ বছর থেকে চলমান দাবিকে সামনে রেখে উত্থাপিত ‘ঐতিহাসিক বারাসাত ব্যারিকেড টু মহাখালী’ অবস্থান কর্মসূচি এবং বিক্ষোভ সর্বাত্মকভাবে পালন করেছে।

এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘অধিভুক্ত না স্বতন্ত্র, স্বতন্ত্র স্বতন্ত্র’, ‘অধ্যক্ষ না ভিসি? ভিসি ভিসি’, ‘ডিমান্ড ফর নর্থ সিটি, তিতুমীর ভার্সিটি’, ‘ব্যারিকেড ব্যারিকেড, বারাসাত ব্যারিকেড’, ‘পেতে চাইলে মুক্তি, ছাড়ো ঢাবি ভক্তি’, ‘সেশন না সেমিস্টার? সেমিস্টার, সেমিস্টার’ ‘তিতুমীর কি চায়?’, ‘বিশ্ববিদ্যালয়, বিশ্ববিদ্যালয়’ ‘মহাখালী কি চায়? বিশ্ববিদ্যালয়, বিশ্ববিদ্যালয়’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকে।

এ সময় শিক্ষার্থীরা বলেন, ইউজিসি থেকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছিল সরকারের যে কোনো সিদ্ধান্তে ইউজিসি মতামত দিতে পারে। কিন্তু মন্ত্রণালয়ে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও মন্ত্রণালয় থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। তাই তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তর না হওয়া পর্যন্ত আমাদের শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি চলবে। তিতুমীর ঐক্য সংগঠন থেকে জানানো হয়, সর্বশেষ সেপ্টেম্বর মাসে রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টা, শিক্ষা উপদেষ্টা সহ দায়িত্ববান সকলের নিকট ৯৪ পেইজের স্মারকলিপিসহ ফাইল হস্তান্তর করা হয়। বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও রাষ্ট্রের দায়িত্বশীল জায়গা থেকে কতৃপক্ষ  ইতিবাচক সাড়া দেয়নি। তারই ফলস্রুতিতে ৩ দফা দাবি নিয়ে তিতুমীর কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা ৭২ ঘণ্টা সময় বেধে দিয়ে শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করে। এর মধ্যে সরকারি তিতুমীর কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে রাষ্ট্র কোনোরুপ যোগাযোগ স্থাপন না করেই সাত কলেজ সংস্কারের জন্য নতুন কমিটি ঘোষণা করে। যা তিতুমীরিয়ানরা তা সম্পূর্ণরুপে প্রত্যাখ্যান করে।

কমিটি গঠনের ৭২ ঘণ্টা পার হয়ে যাওয়ার পরও তারা তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের ৩ দফা দাবি বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ না করায় তিতুমীরের শিক্ষার্থীরা এই কমিটিকে ‘টাইম আউট’ বলে ঘোষণা করে। সেই সাথে ৩ দফা দাবি নিয়ে আবারো বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দিয়েছে ‘তিতুমীর ঐক্য’র ব্যানার থেকে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

৩ দফা দাবিগুলো হলো- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত বাতিল করে ৭ কলেজ থেকে তিতুমীর কলেজকে পৃথক করতে হবে; তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রূপান্তরের লক্ষ্যে কমিশন গঠন করতে হবে; তিতুমীর কে একটি স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় বাস্তবায়নের রুপরেখা প্রনয়ণ করতে হবে। তারা আরো বলেন, এই ৩ দফা দাবি মেনে না পর্যন্ত ‘বারাসাত ব্যারিকেড টু মহাখালী’ কর্মসূচি চলমান থাকবে। সেই সাথে যারা তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিকে যারা বিভিন্ন কূটকৌশলে নস্যাৎ করার প্রচেষ্টা চালায় তার প্রতিবাদে আজ ‘ব্লাকফেস রেলি’ কর্মসূচি পালন করা হবে।

উল্লেখ্য, তিতুমীর কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর শিপ্রা রাণী মণ্ডল তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে তিতুমীর ঐক্যের সাথে খুব শিগগিরই আলোচনায় বসার আশ্বাস দেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত