রংপুর মেডিকেল কলেজের (রমেক) অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে সপ্তম দিনে গড়িয়েছে আন্দোলন। রমেক হাসপাতালের ইনডোর ও আউটডোরে চিকিৎসাসেবা বন্ধ রেখে দুই ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করছেন চিকিৎসক, নার্সসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। সদ্য নিয়োগ পাওয়া নতুন অধ্যক্ষ ডা. মাহফুজার রহমানের পদত্যাগের দাবিতে এ কর্মসূচি পালন করছেন তারা। বহির্বিভাগসহ সব ওয়ার্ড থেকে চিকিৎসা সেবা বন্ধ করে দিয়েছেন তারা। এতে হাসপাতালে শত শত রোগীর দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত কর্মবিরতি শুরু করেন তারা। শহীদ আবু সাঈদ এর পোস্টমর্টেম রিপোর্ট বিকৃতির অপচেষ্টাকারী স্বৈরাচারের আজীবন দোসর ও সুবিধাভোগী ক্যাম্পাসের নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের পৃষ্ঠপোষক সাবেক ভাইস প্রিন্সিপাল ডা. মাহফুজার রহমান এর পদত্যাগের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী চিকিৎসক, কর্মচারী, ছাত্র-জনতা রংপুরের আয়োজনে রমেক হাসপাতালের ইনডোর ও আউটডোরের চিকিৎসা সেবায় ২ ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করে, এ সময় চিকিৎসা নিতে আসা জনসাধারন চিকিৎসায় ভোগান্তির শিকার হয়েছে। রমেক হাসপাতালে এ সময় বক্তব্য রাখেন আন্দোলন কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মাহমুদুল হক বলেন, ‘বিগত সরকারের সময়ে ডা. মাহফুজ আওয়ামী লীগের দোসর হিসেবে নানাভাবে কার্যক্রম করেছে। তাকে এই কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ দেয়ায় বিক্ষুব্ধ হয়েছে শিক্ষক শিক্ষার্থীরা। আমরা বৈষম্যবিরোধী রমেক চিকিৎসক কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এই নিয়োগ বাতিলের জন্য এক সপ্তাহ ধরে আন্দোলন করছি। তারই অংশ হিসেবে আজ পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী দাবি আদায়ে দুই ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করা হচ্ছে। দ্রুত ড. মাহফুজকে অধ্যক্ষ পদ থেকে অপসারণ করা না হলে আজ বুধবার থেকে হাসপাতালের সমস্ত সেবা কার্যক্রমেও কমপ্লিট শাটডাউন করা হবে।’ বৈষম্যবিরোধী চিকিৎসক, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ডা. শরিফুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারের সুবিধাভোগী, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের পৃষ্টপোষক সাবেক উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক মাহফুজার রহমানের অধ্যক্ষ পদ থেকে সরাতে হবে। উনাকে অধ্যক্ষ হিসেবে কেউ মেনে নেয়নি। তাই উনাকে ক্যাম্পাস থেকে চলে যেতে হবে। গত ২৯ অক্টোবর স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে রংপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ পদ থেকে অধ্যাপক শাহ মো. সরওয়ার জাহানকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়। সেই অত্র কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মাহফুজার রহমানকে অধ্যক্ষ নিয়োগ দেয়া হয়। উপাধ্যক্ষ নিয়োগ দেয়া হয় সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আনোয়ার হোসেনকে। নিয়োগের পরের দিন থেকেই নতুন অধ্যক্ষের অপসারণের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী চিকিৎসক, কর্মচারী ও ছাত্র-জনতার ব্যানারে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে আসছে মেডিকেল কলেজের চিকিৎসকদের একটি পক্ষ।