মানবাধিকার সুরক্ষায় কমিশনকে শক্তিশালী করার এখনই উপযুক্ত সময়
ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ
প্রকাশ : ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
মানবাধিকার সুরক্ষিত রাখতে কমিশনকে শক্তিশালী করার এখনই উপযুক্ত সময় বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ। গতকাল বেলা ১১টায় ড্যানিশ ইনস্টিটিউট অব হিউম্যান রাইটসের দুই সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের কার্যালয়ে চেয়ারম্যানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় তিনি এ কথা বলেন। সাক্ষাতে দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য পারস্পরিক সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা ইউশা রহমান জানান, আলোচনাকালে জ্ঞান, অভিজ্ঞতা ও সামর্থ্য বিনিময়ের মাধ্যমে সহযোগিতার ক্ষেত্র প্রসারে একমত পোষণ করা হয় এবং ড্যানিশ ইনস্টিটিউট অব হিউম্যান রাইটসের পক্ষ থেকে কমিশনকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করা হয়।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান প্রতিনিধি দলকে কমিশনের কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করে বলেন, দেশে মানবাধিকার সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠায় এবং মানবাধিকার সুরক্ষিত রাখতে সবাইকে আন্তরিক থাকতে হবে। এক্ষেত্রে কমিশন প্রয়োজনীয় পর্যবেক্ষণ, গবেষণা এবং সুপারিশ প্রদান করে এবং জনগণের মানবাধিকার সংরক্ষণ ও মর্যাদা নিশ্চিতকরণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কমিশনে জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে যে কোনো বয়সের ব্যক্তি অভিযোগ করতে পারেন। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি নিজে অথবা তার পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানও অভিযোগ করতে পারেন। প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে কমিশন নিয়মিত স্বপ্রণোদিত অভিযোগও গ্রহণ করে।
কমিশন বিশ্বাস করে বৈঠক ইতিবাচক ফলাফল নিয়ে আসবে এবং পারস্পরিক সহযোগিতা ও বিনিময়ের ক্ষেত্র প্রসারিত হবে- যুক্ত করেন ড. কামাল। বৈঠকে ড্যানিশ ইনস্টিটিউট অব হিউম্যান রাইটসের প্রতিনিধি দল জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। এ সময় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের বিভিন্ন থিমেটিক কমিটির কার্যক্রম, কমিশনের প্রতিবন্ধকতা ও করণীয় সম্পর্কে আলোচনা হয়।
আলোচনায় মানবাধিকার কমিশনের সক্ষমতা ও আইনি কাঠামো বাড়ানোর ওপরও গুরুত্ব দেন চেয়ারম্যান। সারা দেশের সব বিভাগে কমিশনের কার্যালয় স্থাপন, কমিশনকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের কোনো অভিযোগ থাকলে সে বিষয়ে তদন্ত করার এখতিয়ার দিয়ে কমিশনের আইন সংশোধন, কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা আবশ্যক বলে মতপ্রকাশ করেন ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ।