মহেশখালীতে ১২ মুখপোড়া হনুমান উদ্ধার করে অবমুক্ত করল বন বিভাগ
প্রকাশ : ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার
কক্সবাজারে মহেশখালীতে ‘পরিত্যক্ত বসতঘর’ থেকে পাচারের জন্য রাখে বিলুপ্তপ্রায় ১২টি মুখপোড়া হনুমান উদ্ধার করেছে বন বিভাগ। গতকাল বৃহস্পতিবার মহেশখালী উপজেলার শাপলাপুর ইউনিয়নের বারিয়াপাড়ায় এ অভিযান চালানো হয় বলে জানান, বনবিভাগের মহেশখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা এস এম এনামুল হক। তবে পাচার কাজে জড়িতরা পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি বলে জানান তিনি। উদ্ধার করা হনুমানগুলোর মধ্যে ৫টি বাচ্চা এবং ৭টি প্রাপ্তবয়স্ক রয়েছে। এনামুল হক বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে মহেশখালীর শাপলাপুর ইউনিয়নের বারিয়াপাড়ায় এসময় শাপলাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলামের পরিত্যক্ত বসত ঘরে বিলুপ্ত প্রজাতির কয়েকটি হনুমান পাচারের উদ্দেশে মজুত করার খবর পায় বনবিভাগের কর্মীরা। পরে বিষয়টি উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশকে অবহিত করে বনবিভাগের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে। এতে ঘটনাস্থলে পৌঁছে বনবিভাগের কর্মীরা সন্দেহজনক বসতঘরটি ঘিরে ফেললে উপস্থিতি টের পেয়ে পাচারকারিরা পালিয়ে যায়। এ সময় পরিত্যক্ত ঘরে খাঁচায় বন্ধী অবস্থায় বিভিন্ন বয়সি ১২ মুখপোড়া হনুমান পাওয়া যায়। ধারণা করা হচ্ছে, মহেশখালীর প্রাকৃতিক বন থেকে পাচারকারিরা এসব হনুমান ফাঁদে পেলে শিকার করেছে। “বনবিভাগের এ রেঞ্জ কর্মকর্তা বলেন, পরিত্যক্ত ঘরটির মালিক আমিনুল ইসলাম জানিয়েছেন, তিনি পরিবার নিয়ে কক্সবাজার শহরে বসবাস করেন। ঘটনাস্থলের পরিত্যক্ত ঘরটির তিনি মালিক হলেও এখন ব্যবহার করেন না। পাচারকারিরা ঘরটিতে লোকজন না থাকা সুযোগকে কাজে লাগিয়ে এসব হনুমান মজুত করেছে।
উদ্ধার করা হনুমানগুলো বিকালেই শাপলাপুর বনবিটের আওতাধীন প্রাকৃতিক বনে অবমুক্ত করা হয়েছে বলে জানান এস এম এনামুল হক।
বাংলাদেশ বন অধিদফতরের বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা ও বন্যপ্রাণী গবেষক জোহরা মিলানের তথ্য মতে, দেশের তিন প্রজাতির হনুমানের দেখা মেলে যার মধ্যে একটি হল মুখপোড়া হনুমানের। বুনো পরিবেশে এদের গড় আয়ু ১৮-৩০ বছর। সাধারণত জুলাই-অক্টোবর বা কোনো-কোনো ক্ষেত্রে ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল এদের প্রজননকাল। স্ত্রী হনুমান ২০০ থেকে ২১২ দিন গর্ভধারণের পর সাধারণত ১-২টি বাচ্চা প্রসব করে।