ঢাকা ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ কার্তিক ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ছুটির দিনে ইসলামী বইমেলায় লেখক-পাঠকের উপচে পড়া ভিড়

ছুটির দিনে ইসলামী বইমেলায় লেখক-পাঠকের উপচে পড়া ভিড়

ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে আয়োজিত ইসলামী বইমেলার গতবাল ছিল ১৬তম দিন। গতকাল শুক্রবার ছুটির দিনে মেলায় পাঠক, লেখক, প্রকাশক ও দর্শনার্থীদের ভিড় বেড়েছে। দিন গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে মেলাও জমে উঠেছে। ঘোরাঘুরির পাশাপাশি পছন্দের বই কিনছেন অনেকে। প্রকাশক ও লেখকরা জানান, সময় যত যাচ্ছে পাঠকের ভিড়ও বাড়ছে। গতকাল জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের ইসলামী বইমেলায় গিয়ে এমন চিত্র দেখা গেছে। এ বছর নির্ধারিত সময়ের থেকে কিছুটা দেরিতে শুরু হয়েছে ইসলামী বইমেলা। প্রাথমিকভাবে বইমেলার সময় ২০ দিন নির্ধারণ করা হলেও লেখক-প্রকাশকদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আরো ১০ দিন বাড়িয়ে ৩০ দিন করা হয়েছে। এরই মধ্যে মেলার অর্ধেক সময় পার হয়েছে। শুরু থেকে এবারের বইমেলায় পাঠক-দর্শনার্থীর ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। ছুটির দিনে অনেকে এসেছেন ঘুরতে, আবার কেউ কেউ এসেছেন পছন্দের বই কিনতে। ঘুরতে এসেও পছন্দের বই কিনছেন অনেকে। মেলায় পছন্দের বই কিনতে আসা ইয়ামিন মাহফুজ বলেন, মেলায় আগেও এসেছি। ছুটির দিনে সময় নিয়ে বই কিনতে এসেছি।

আমার পছন্দের ইসলামী ইতিহাস বিষয়ক কয়েকটি বই কিনেছি। বায়তুল মোকাররমের নতুন খতিব মাওলানা আব্দুল মালেকের পেছনে জুমা পড়তে গাজীপুর থেকে এসেছেন আব্দুল্লাহ। নামাজের পর ঘুরে বিভিন্ন বই কিনেছেন, পছন্দের লেখকের অটোগ্রাফ নিয়েছেন। তাই অনেক খুশি তিনি। মেলায় ঘুরতে এসেছেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ফয়সাল। তিনি বলেন, মেলায় ঘুরতে ভালো লাগছে। বইমেলায় তার পছন্দ সাহাবিদের জীবনী, ইসলাম বিষয়ক মোটিভেশনাল বই। ইলহাম প্রকাশনীর বিক্রয়কর্মী মাহমুদুর রহমান বলেন, গতকাল শুক্রবার মেলায় অনেক ভিড় থাকে। বিক্রিও অন্যদিনের চেয়ে বেশি হয়। মেলার বেচা-বিক্রি নিয়ে খুশি তিনি। ছুটির দিনে লেখকরাও আসেন বইমেলায়। প্রিয় পাঠকদের সঙ্গে দেখা ও অটোগ্রাফ দিয়ে নিজের বই বিক্রিতে ব্যস্ত সময় কাটান তারা। ছুটির দিনে অটোগ্রাফে ব্যস্ত সময় পার করছিলেন তরুণ লেখক মনযুরুল হক।

ফিলিস্তিনের জীবনযুদ্ধকে উপজীব্য করে লেখা সাবেক হামাস প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ারের লেখা একমাত্র উপন্যাস ‘কাঁটা ও ফুল’ অনুবাদ করেছেন তিনি। তিনি বলেন, ইসলামী বই, বইমেলার প্রতি মানুষের এত আগ্রহের বিষয়টি আমি আগে তেমন অনুভব করিনি। এবারের মেলায় এসে খুব কাছ থেকে বিষয়টি দেখে আমি অভিভূত। তিনি বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে দেখেছিলাম বাংলাবাজার কেন্দ্রিক মিনা বুক ডিপো ও এ জাতীয় কিছু প্রকাশনী থেকে ইসলামী বই বের হতো। এরপর মাকতাবাতুল আজহার, ইসলামিয়া কুতুবখানা বই প্রকাশের দিকে হাত দেয়। বর্তমানে এসে গার্ডিয়ান সমকালীন রাহনুমাসহ আরো বেশ কিছু প্রকাশনীর মাধ্যমে এ ধারা সামনে অগ্রসর হচ্ছে, এটা রীতিমতো জাগরণে অবস্থান নিয়েছে। আমার কাছে ভালো লাগছে এই জাগরণের ক্ষুদ্র একটি অংশে আমিও অংশগ্রহণ করতে পেরেছি। এই বইমেলায় আমার বই আসবে, এটা আমি ধারণা করতে পারিনি। সবকিছু মিলিয়ে ব্যাপারটা উপভোগ্য মনে হচ্ছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত