স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশে বিগত অর্ধশতাব্দী যাবত যে কয়টি রাজনৈতিক দল রাষ্ট্রক্ষমতায় ছিল, সবাই স্বৈরাচারী আচরণ করেছে এবং নানাবিধ অপকর্ম পরিচালনা করেছে। অতীতে রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকা সেসব কোনো রাজনৈতিক দলেরই তাদের কৃত অপকর্মের জন্য কোনো অনুসূচনা নেই। সেসব রাজনৈতিক দলগুলোর সংস্কৃতিও খুব একটা বদলায়নি। আগামীতে প্রয়োজনীয় রাষ্ট্র সংস্কারের কাজ তারা ধারাবাহিকভাবে এগিয়ে নিবে সেটা আশা করা বৃথা। তাই প্রয়োজনীয় রাষ্ট্র সংস্কারসম্পন্ন না করে নির্বাচন হলে জাতিকে ডুবতে হবে চরম হতাশায়। বিধায় দ্রুততার সাথে প্রয়োজনীয় রাষ্ট্র সংস্কার সম্পন্ন করেই নির্বাচনের উদ্যোগ নিতে হবে।
বিবৃতিতে ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টির মহাসচিব অ্যাডভোকেট মো: নূরুল ইসলাম খান আরো বলেন, ২০২৪ এর আগস্টের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান ছিল পরিবর্তনের পক্ষে। টেকসই গণতন্ত্র ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্যই সেদিন ছাত্র-জনতা জীবন দিয়েছে। এজন্য শুধু নির্বাচন দিলেই হবে না, রাষ্ট্র কাঠামোর সংস্কার করতে হবে। সংস্কার শেষে নির্বাচনের জন্য সবাইকে ধৈর্ষ্য ধারণ করতে হবে। কেননা, অতীতে রাজনৈতিক দলগুলোর উপর মানুষ দিনের পর দিন ভরসা রেখেছে; কিন্তু তারা টেকসই গণতন্ত্র ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য কিছুই করেনি। নামকাওয়াস্তে গণতন্ত্রের জন্য এতো ছাত্র-জনতা প্রাণ দেয়নি। সেজন্য শুধু নির্বাচন দিলেই হবে না, প্রয়োজনীয় সংস্কারও করতে হবে।
বিবৃতিতে অ্যাডভোকেট মো: নূরুল ইসলাম খান আরো বলেন, লাখ লাখ শহীদের আত্মদানের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরেও আমরা এদেশটাকে কোনো গণতান্ত্রিকভিত্তির উপর দাঁড় করাতে পারিনি। কখনও সামরিক স্বৈরাচার, কখনও নির্বাচিত একনায়কতন্ত্রের যাতাকলে সাধারণ মানুষ পিষ্ট হয়েছে। এর মাঝে দেশের মানুষ অনেক বার রক্ত দিয়েছে; কিন্তু রাজনৈতিক ব্যবস্থার কোনো পরিবর্তন হয়নি। সর্বশেষ গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের অনেক শহীদের রক্তের বিনিময়ে এসেছে নতুন সম্ভাবনার দিন। এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হলে জাতীয় স্বার্থে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থানে থেকে কাজ করতে হবে।