স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হাসান আরিফ বলেছেন, চরাঞ্চলের মানুষদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য সরকারি ও বেসরকারি অংশীদারিত্বের মাধ্যমে একটি টেকসই বাজারব্যবস্থা তৈরির কোনো বিকল্প নেই। ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের উন্নত চাষাবাদ, আধুনিক প্রযুক্তি এবং সহজ অর্থায়নের মাধ্যমে তাদের জীবনের মানোন্নয়ন করা হলে দেশ এগিয়ে যাবে। গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে বগুড়া পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (আরডিএ) ও সুইসকন্ট্যাক্ট পরিচালিত মেকিং মার্কেটস ওয়ার্ক ফর দি চরস (এমফোরসি) প্রকল্পের সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। প্রকল্পটি বাংলাদেশে অবস্থিত সুইস দূতাবাস এবং বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে ২০১২-২৪ পর্যন্ত বাস্তবায়িত হয়েছে। প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হাসান আরিফ বলেন, চরাঞ্চলে মাত্র ২৫ শতাংশ জমি ব্যবহার হয়েছে। অবশিষ্ট ৭৫ শতাংশ জমির সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিতে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার বিকল্প নেই। চরাঞ্চলে সহজ ঋণ সুবিধা প্রদান করা জরুরি উল্লেখ করে তিনি বলেন, বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে হলে চরের মানুষদের জন্য সহজ ঋণের ব্যবস্থা করতে হবে। তাই ক্ষুদ্র ঋণ প্রকল্প নিয়ে কর্মরতদের মাধ্যমে চরের জন্য বিশেষ ঋণ প্রকল্প করা যায় কি না তা মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করা হবে বলেও জানান তিনি। বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত রেটো রেংলি বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের বাস্তবতাকে মাথায় রেখে উন্নয়নের এই ধারা অব্যাহত রাখতে এবং চরাঞ্চলে নতুন কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করতে সুইজারল্যান্ড সরকারের সহযোগিতা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।’ অনুষ্ঠানে বলা হয় চরের মূল জনপদের সঙ্গে ভৌগোলিক বিচ্ছিন্নতার ফলে বাজার ও অন্যান্য পরিসেবার মান আশানুরূপ নয়, যার ফলে চরে কম অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সংঘটিত হয় এবং সার্বিক আউটপুট কম হয়। তবে চরের দারিদ্র্য দূরীকরণ ও চরাঞ্চলে টেকসই উন্নয়নের জন্য উন্নয়ন সহযোগীদের সহায়তায় বাংলাদেশ সরকার বিগত কয়েক দশকে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। চরাঞ্চলের উন্নয়নকে ঘিরে যদি মেগা পরিকল্পনা প্রণয়ন করা যায়, সেই সঙ্গে যোগাযোগব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন করা যায়, তবে চরাঞ্চলে কৃষি ব্যবসা বাণিজ্যের প্রক্রিয়া সম্প্রসারণ ঘাটবে যার ফসল বাংলাদেশ ভোগ করবে।