বগুড়া টিএমএসএস টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী আলী হোসেন সৌরভকে (১৯) গত ২ নভেম্বর হত্যা করা হয়েছে। গত শনিবার ২ নভেম্বর রাতে দুর্বৃত্তরা তাকে হত্যা করে। নিহত সৌরভ সদরের ঠেঙ্গামারা তালুকদার পাড়ার আব্দুল মমিন সিকদারের ছেলে। বগুড়া সদর থানার ওসি এসএ মইনুদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সৌরভকে হত্যার পর মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় তিনি নিহত হয়েছেন বলে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে দুর্বৃত্তরা। দুজন অজ্ঞাত যুবক সৌরভের লাশ মোটরসাইকেলের মাঝখানে সিটে বসিয়ে নিয়ে টিএমএসএস হাসপাতালে যায়। এরপর সৌরভের মরদেহ হাসপাতালে রেখে মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায় তারা। তিনি আরো বলেন, সৌরভের মাথা ও পায়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তার মাথা থেতলে দেয়া হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, গাছের ডাল বা রড জাতীয় কিছু দিয়ে তার মাথায় আঘাত করা হয়েছে। এছাড়া তার পায়ের আঙুলে ছেঁচড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার মতো চিহ্ন রয়েছে। তিনি বলেন, সৌরভকে হত্যার পর সড়ক দুর্ঘটনায় তিনি মারা গেছেন বলে অপপ্রচার করা হয়। পরে আঘাতের ধরন এবং ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানা যায়, পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে। পূর্বশত্রুতার জের ধরে পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। সৌরভের মরদেহ বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল হতে ময়নাতদন্ত শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। সৌরভের এক সহপাঠী জানান, রাত সাড়ে ১০টার দিকে সৌরভ ঠেঙ্গামারায় একটি দোকানে বসেছিল। এসময় দুই যুবক এসে তাকে ডেকে নিয়ে যান। কিন্তু এর আধা ঘণ্টা পর একজন সৌরভের স্বজনদের ফোন দিয়ে জানান, সৌরভ মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন। তাকে হাসপাতালে নেয়া হচ্ছে। টিএমএসএস হাসপাতালের ইমারজেন্সি মেডিকেল অফিসার জানান, রাত পৌনে ১২টার দিকে সৌরভকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ভেতরে আনা হয়। তবে হাসপাতালে আনার আগেই সৌরভ মারা যান। সৌরভের মাথাসহ বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে তিনি জানেন। টিএমএসএস হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ হতে খুনিদের শনাক্ত করা গেলেও অজ্ঞাত কারণে কাউকেই এখনো পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়নি।