ঢাকা ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

শেখ হাসিনার গ্রেপ্তারের অগ্রগতি জানতে চাইলেন ট্রাইব্যুনাল

শেখ হাসিনার গ্রেপ্তারের অগ্রগতি জানতে চাইলেন ট্রাইব্যুনাল

জুলাই-আগস্টের গণহত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দায়ের করা মামলার আসামি শেখ হাসিনার গ্রেপ্তারের অগ্রগতি জানতে চেয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আগামী ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে অগ্রগতি প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে। গতকাল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন। এর আগে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলার তদন্ত শেষ করতে আদালতে সময় প্রার্থনা করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। ট্রাইব্যুনাল এ সময় জানতে চান শেখ হাসিনা কোথায়। তখন তাজুল ইসলাম বলেন, ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের দিন শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছেন। তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি শেখ হাসিনা বর্তমানে ভারতে অবস্থান করছেন। ইন্টারপোলের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনতে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এছাড়া ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে যে বন্দি বিনিময় চুক্তি রয়েছে, সে চুক্তি অনুযায়ী শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে দিতে ভারতকে অনুরোধ জানাবে সরকার। পরে জুলাই-আগস্টের গণহত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দায়ের করা দুই মামলায় শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত এক মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। তদন্ত শেষ করে আগামী ১৭ ডিসেম্বর প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। এছাড়া আদালতে হাজির হওয়া আনিসুল হকসহ ১৩ জনকে ট্রাইব্যুনালের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে আটক রাখতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আদালতে প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। এর আগে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয় সাবেক মন্ত্রী আনিসুল হক, ফারুক খান, ডা. দীপু মনি, রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, শাজাহান খান, জুনাইদ আহমেদ পলক, সালমান এফ রহমান, ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, কামাল আহমেদ মজুমদার, গোলাম দস্তগীর গাজী, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক ও সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব জাহাঙ্গীর আলমকে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত