বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারাত্মক আহত ৫ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম। এছাড়াও আরো ২০ থেকে ২৫ জনকে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে বিদেশ পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। গত রোববার দিবাগত রাত দেড়টায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উন্নত চিকিৎসায় থাইল্যান্ডগামী গুলিবিদ্ধ কাজল মিয়াকে বিদায় জানাতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা।
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত মোহাম্মদ কাজল মিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডের ভেজথানি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও আরো একজন যাওয়ার জন্য অপেক্ষমাণ। তিনি নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। কাল অথবা পরশু আমরা তাকে পাঠাতে পারব বলে আশা করছি। এখন পর্যন্ত আমরা পাঁচজনকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য পাঠাতে পেরেছি। এছাড়া আরও ২০-২৫ জনকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। তিনি বলেন, আহতদের মধ্যে সাতজনকে তুরস্কে পাঠানো হবে। এদের মধ্যে তিনজন চোখে আঘাতপ্রাপ্ত এবং চারজন অর্থপেডিকসের রোগী। তুরস্ক সরকারের সঙ্গে আমাদের আলাপ আলোচনা চলছে।
বিভিন্ন দেশ থেকে ডাক্তাররা এসে আহতদের চিকিৎসায় সেবা দিচ্ছে উল্লেখ করে নূরজাহান বেগম আরও বলেন, এরইমধ্যে ফ্রান্স, নেপাল, ইউকেসহ বিভিন্ন দেশ থেকে ডাক্তাররা এসে চিকিৎসা দিয়েছেন। বিদেশ থেকে আসা চিকিৎসকরা আহতদের যে চিকিৎসা বাংলাদেশে হয়েছে সেটা নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। সম্প্রতি যুক্তরাজ্য থেকে আসা ডাক্তাররা ৯৩ জন আহতকে দেখেছেন এবং ১৮ জন আহতের অপারেশন করেছেন।
গুলিবিদ্ধ কাজলের চিকিৎসা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কাজলের শারীরিক অবস্থা শুরুতে একটু উন্নত হলেও পরে আবার অবনতি হয়, ফলে আমরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে থাইল্যান্ডে পাঠানোর ব্যবস্থা করি। কাজলকে থাইল্যান্ড পাঠাতে শুধু এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের জন্যই ৬৪ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। প্রাথমিকভাবে আমরা চিকিৎসা বাবদ ১০ লাখ টাকা দিয়েছি। বাকি আরও লাগলে আমরা দেখে-বুঝে পাঠাব।
এসময় বিমানবন্দরে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম ছাড়াও অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর এবং ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সের পরিচালক অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ।