পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের আমদানি রপ্তানি ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত

প্রকাশ : ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  চট্টগ্রাম ব্যুরো

চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এসএম মনিরুজ্জামান বলেছেন, পাকিস্তানের সাথে বাংলাদেশের আমদানি রপ্তানি ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে। আমদানি পণ্যের কনটেইনার পর্যাপ্ত হলে করাচি-চট্টগ্রাম রুটে ভবিষ্যতে নিয়মিত জাহাজ পরিচালনা করতে মালিকরা আগ্রহী। ইতিপূর্বে পাকিস্তানের সঙ্গে সিঙ্গাপুর ও কলম্বো বন্দরের মাধ্যমে বাংলাদেশের পণ্য আমদানি-রপ্তানি হতো। নতুন রুট চালু হওয়ায় বাংলাদেশের আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হলো। এতে সাশ্রয়ী ব্যয় ও সময়ে উভয় দেশের আমদানি রপ্তানি বাণিজ্যে নতুনভাবে গতিশীলতা সৃষ্টি হবে। গতকাল মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম বন্দরের শহীদ মো. ফজলুর রহমান মুন্সী অডিটোরিয়ামে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, করাচি বন্দর থেকে লাইনার সার্ভিসের মাধ্যমে প্রথমবার গত ১১ নভেম্বর এইচআর শিপিং লাইনের অধীনে একটি জাহাজে ৩২৮ কনটেইনার নিয়ে চট্টগ্রাম আসে। ১২ নভেম্বর কনটেইনার খালাস করে চট্টগ্রাম ত্যাগ করে। জাহাজটি মূলত দুবাইয়ের জেবল আলী বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে করাচি বন্দর হয়ে চট্টগ্রাম আসে। জাহাজটির সাধারণ রাউন্টিং হচ্ছে দুবাই জেবল আলী- করাচি-চট্টগ্রাম-ইন্দোনেশিয়া-মালয়েশিয়া-মুন্দা (ভারত)-দুবাই। তিনি বলেন, গত তিন মাসে চট্টগ্রাম বন্দরে ৮ লাখ ৩০ হাজার ৫৮২ টিইইউ’স কনটেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছে। যা বিগত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৭৬ হাজার ৯৮৬ টিইইউ’স বেশি, প্রবৃদ্ধি ১০ দশমিক ২২ শতাংশ। গত ১৬ জুলাই চট্টগ্রাম বন্দরে ৪৫.৫ হাজার কনটেইনার স্থিতি ছিল। এ সময় চট্টগ্রাম বন্দরে মোট ধারণ ক্ষমতার প্রায় ৮৫ শতাংশ এলাকাজুড়ে কনটেইনার ছিল। তবে গত তিন মাসে পদ্ধতিগত উদ্ভাবনের মাধ্যমে তা ৩৪ হাজারে নামিয়ে আনা হয়। আগে জাহাজের অপেক্ষমাণ সময় ছিল ৬ থেকে ৮ দিন। বর্তমানে অপেক্ষমাণ সময় একদিনে নামিয়ে আনা হয়েছে। এসময় তিনি আরো বলেন, ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের গত ৪ মাসে ১ হাজার ৬৪৩.৮৫ কোটি টাকা রাজস্ব আয় হয়েছে। যা গত অর্থবছরের একই সময়ে রাজস্ব আয়ের তুলনায় ২১.৮৫ শতাংশ বেশি এবং একই সাথে রাজস্ব উদ্ধৃত ২৮.০১ শতাংশ বেশি। বন্দর চেয়ারম্যান আরও বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরে আধুনিক পোর্ট ইকোসিস্টেমে, পোর্ট কমিউনিটি সিস্টেম প্রবর্তন, ডিজিটালাইজেশন এবং আধুনিকীকরণের মাধ্যমে একটি বিশ্বমানের বন্দরে পরিণত করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।