স্থগিত থাকা তিনটি বিসিএসের বিভিন্ন পর্যায়ের কার্যক্রমে গতি ফেরাতে নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। শিগগির এসব বিসিএসের পরীক্ষার সময়সূচি ঘোষণা করবে সাংবিধানিক সংস্থাটি। আজ বৃহস্পতিবার কমিশন সভাও ডেকেছে পিএসসি। এতে চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে আশার সঞ্চার হয়েছে। এদিকে, প্রিলিমিনারিতে উত্তীর্ণ হয়ে যারা লিখিত পরীক্ষার জন্য অপেক্ষা করছেন, তারা পুরোদমে প্রস্তুতি শুরু করেছেন। পাশাপাশি আসন্ন ৪৭তম বিসিএসের প্রিলিমিনারির জন্যও তাদের বড় একটি অংশ প্রস্তুতি নিচ্ছেন। লিখিত ও প্রিলির প্রস্তুতি একসঙ্গে নেয়া প্রার্থীরা কিছুটা বিপাকে পড়েছেন। ৪৬তম বিসিএসে উত্তীর্ণরা বলছেন, নভেম্বরে ৪৭তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হলে সাধারণত ফেব্রুয়ারির শেষে অথবা মার্চে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা নেয়া হয়। অর্থাৎ, ৪৭তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা মার্চের মধ্যেই হতে পারে। আবার ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষাও প্রায় একই সময়ে নেয়া হলে, তাদের প্রস্তুতিতে ঘাটতি থেকে যাবে। এজন্য তারা ৪৭তম বিসিএসের প্রিলি ও ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার মাঝে অন্তত তিন থেকে চার মাসের বিরতি দাবি করেছেন। ৪৬তম বিসিএসে উত্তীর্ণ হয়েছেন নুর জাহান, মো. আনোয়ারুল হক ও আদনান নিলয়। তারা ৪৭তম বিসিএসেও আবেদন করবেন। সেক্ষেত্রে তারা এখন ৪৭তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি ও ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সময়সূচি নিয়ে তাদের মধ্যে দুশ্চিন্তা দেখা দিয়েছে। চাকরিপ্রার্থী নূর জাহান বলেন, যেহেতু ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছিল, এখন পিছিয়ে গেছে, ফলে ৪৭তম বিসিএসের প্রিলিমিনারির পর ৩-৪ মাস সময় না দিলে আমাদের সঙ্গে বৈষম্য করা হবে। এতে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হবো। আরেক প্রার্থী আদনান নিলয় বলেন, ৪৬তম বিসিএসের লিখিত ও ৪৭তম বিসিএসের প্রিলিমিনারির মধ্যে অবশ্যই কমপক্ষে তিন মাস গ্যাপ দিতে হবে। তা না হলে আমরা সেই সময়সূচি মানবো না। পিএসসির কর্মকর্তারা অবশ্য এ নিয়ে আগেভাগে কথা বলতে নারাজ। কমিশনের চেয়ারম্যানের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোনকল রিসিভ করেননি। বিষয়টি নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি পিএসসির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকও। সদ্য নিয়োগ পাওয়া পিএসসির একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, বিষয়টি নিয়ে সভায় আলোচনা হবে। প্রার্থীদের দাবির বিষয়টিও বিবেচনা করে দেখা হবে। যেটা করলে সবার জন্য ভালো হয়, সেটাই পিএসসি করবে।