এশিয়া আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা
শেষ সময়ে উপচে পড়া ভিড়
প্রকাশ : ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেষ দিনের আগে দিনে জমে উঠেছে এশিয়া আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা। নানা বয়সী দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড়। পা ফেলানোর ফুসরত নেই, ছিল না তিল ধারণের ঠাঁইও। পরিস্থিতি এমন ছিল যে গেট দিয়ে প্রবেশ করতে ও বের হতে রীতিমত ঘাম ঝরেছে আগত দর্শনার্থীদের! মাত্র ২০ ফুট দূরত্বে থাকা গেট দিয়ে বের হতেই কারো কারো সময় লেগেছে প্রায় ১৫ থেকে ২০ মিনিট। এর আগে কখনো আগত দর্শনার্থীরা এমন ভিড় দেখেননি বলে জানিয়েছেন। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় মেলা ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে। চলতি মাসের ৭ নভেম্বর রাজধানীর আগারগাঁওয়ে শুরু হয়েছিল এশিয়া আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা। এ মেলা আজ শনিবার শেষ হবে। ছুটির দিন হওয়ায় দুপুর থেকে দর্শনার্থীদের ভিড় বাড়তে থাকে। কিন্তু সন্ধ্যার পর তা জনারণ্যে রূপ নেয়। মেলার ভেতর কী বাহির, সব জায়গায় ছিল নারী-পুরুষ ও যুবক-যুবতীদের উপচে পড়া ভিড়। শেষ দিনে আসেন নানা বয়সী মানুষ। বিশেষ করে শিশুদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
কারণ, মেলার দক্ষিণ পাশে এক কোণায় ফাঁকা জায়গায় বসানো হয়েছিল বিভিন্ন রাইডস, যা বেশ উপভোগ করেছে শিশুরা। বিকালে মিরপুর থেকে আসেন সোহানা-রাজু দম্পতি। সন্ধ্যার পর তারা বের হয়ে যান। তার আগে কথা হয় তাদের সঙ্গে। রাজু জানান, কদিন আগেও এমন লোক হয়নি। যা হয়েছে তা রেকর্ড। তার গিন্নি সোহানা বলেন, বাবুকে নিয়ে কীভাবে গেট দিয়ে বের হব সেটাই ভাবছি। পরে এই ভিড়ের মধ্যেই বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দেন এই দম্পতি। তাদের সঙ্গে কথা বলার পর মেলায় প্রবেশ করে দেখা যায়, মেলার ভেতর চলছে অন্যরকম কারবার। প্রতিটি স্টলে উপচে পড়া ভিড়। মেলায় বসেছে এসেছে শাড়ি, থ্রি-পিস, রকমারি খাবার, তৈজসপত্র ও শখের জিনিস। কেউ কিনছেন, কেউ নেড়েচেড়ে দেখছেন। তবে মেলায় বিশেষ করে নারীদের থ্রি-পিস মিলছে মাত্র সাড়ে ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকায়, যা দোকানিদের ভাষায় ‘ঝাড়ো অফার’। মেলা আয়োজক কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইসহাক জানালেন, তারা শুরুর দিনগুলোতে এত লোকজন পাননি। কিন্তু তাদের ব্যাপক সাড়া। এমনটি অন্যদিনগুলো থাকলে ভালো হতো। তবে তারা খুশি। মেলায় স্টলের পাশাপাশি শিশুদের বিভিন্ন রাইডসও রাখা হয়েছে। মেলার শেষদিনে বিমান ও পর্যটন এবং ভূমি উপদেষ্টা এএফ হাসান আরিফ উপস্থিত ছিলেন। তিনি বিকালে মেলায় আসেন এবং মেলা ঘুরে ঘুরে দেখেনে। পরে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। উপদেষ্টা বলেন, এ ধরনের মেলার আয়োজনের ফলে এক দেশের মানুষের সঙ্গে অন্য দেশের মানুষের মেলবন্ধন তৈরি হয়।