গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গড়তে হলে রাজনৈতিক দলের সংস্কার জরুরি
ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টি
প্রকাশ : ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনে রাজনৈতিক দল ও প্রতিষ্ঠানের সংস্কারের দাবি জানিয়ে ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টির মহাসচিব, সাবেক পিপি অ্যাডভোকেট মো: নূরুল ইসলাম খান বলেছেন, ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের প্রধান বার্তা হচ্ছে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা। কিন্তু আমাদের দেশের অনেক রাজনৈতিক দলের মধ্যে ফ্যাসিবাদের ছায়া দেখা যায়। তাই রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তরের জন্য রাজনৈতিক দল ও প্রতিষ্ঠানগুলোর সংস্কার সাধন জরুরি। আমাদের মনে রাখতে হবে জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য দরকার রাজনৈতিক পরিবর্তন। রাজনীতি ঠিক না হলে একটি নির্বাচন ও শাসন পরিবর্তন কখনও সাধারণ মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন আনতে পারবে না।
গত বৃহস্পতিবার সকালে ধানমন্ডি কলাবাগানস্থ ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বৃহত্তর ইসলামী জোট গঠনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির নেতৃবৃন্দের সাথে এক মতবিনিময় সভায় ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টির মহাসচিব অ্যাডভোকেট মো: নূরুল ইসলাম খান আরো বলেন, আমরা চাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দ্রুততার সাথে রাষ্ট্র সংস্কারের অংশ হিসেবে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোর গণতান্ত্রিক সংস্কার শেষে জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ দেবে। এটাই তাদের মূল কাজ এবং দেশের মানুষের চাওয়া এটিই। নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে আবার কোনো স্বৈরাচারের যাতে আবির্ভাব ঘটতে না পারে, সে পথ সংস্কারের মাধ্যমে বন্ধ করে দিতে হবে, তাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অবশ্যই রাজনৈতিক দলগুলোর অভ্যন্তরে ইতিবাচক সংস্কারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। এই সংস্কার কাজটি সঠিকভাবে করানোর জন্য সরকার, ছাত্র সমাজ, পেশাজীবী ও সামাজিক শক্তি এবং নাগরিক সমাজের বিভিন্ন প্লাটফর্ম থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর উপর ব্যাপক চাপ প্রয়োগ করা দরকার। কারণ রাজনৈতিক দলের টেকসই সংস্কার ছাড়া একটি টেকসই ও গ্রহণযোগ্য রাজনৈতিক বন্দোবস্ত কোনোভাবেই সম্ভব হবে না। শুধুমাত্র একটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেই নতুন করে গণতন্ত্র ও জবাবদিহিমূলক শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হবে না। অতীতে আমরা দেখেছি ৯০ এর গণআন্দোলন তিন জোটের প্রণীত রূপরেখা পরবর্তী নির্বাচিত সরকার বাস্তবায়ন না করে তারাই আবার ফ্যাসিবাদী শাসন কায়েমের প্রচেষ্টা করেছিল।
তাই এবারের সুযোগটি হারালে এই রাষ্ট্র এত বড় আকারে জনমানুষের ঐক্য নিয়ে আর কোনোদিন ঘুরে দাঁড়াতে পারবে না। এরূপ হলে জাতি হিসাবে আমরা আত্মঘাতী ও অপরিণামদর্শী হয়েই থাকব। অ্যাডভোকেট মো: নূরুল ইসলাম খান দেশের ইসলামী রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে নিজেদের ছোটখাটো মতপার্থক্য জিইয়ে না রেখে বৃহত্তর ঐক্য গঠনের উপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, যদি এদেশে ইসলামপন্থি দলগুলোর মধ্যে সুদৃঢ় রাজনৈতিক ঐক্য গড়ে উঠে তাহলে আগামী নির্বাচনে ইসলামপন্থিরাই হয়ে উঠবে মানুষের কাঙ্ক্ষিত বিকল্প রাজনৈতিক শক্তি। মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির অতিরিক্ত মহাসচিব আবুল কালাম আজাদ, দফতর সম্পাদক মো: ইব্রাহিম মিয়া, ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য মুফতি আহসান উল্লাহ সালামী, অতিরিক্ত মহাসচিব মো: ওমর ফারুক প্রমুখ।