পৃথিবীর সকল মানুষ হিংসা বর্জন করে পারস্পরিক ভেদাভেদ ভুলে সংঘাত ও কলহমুক্ত উৎসবমুখর পরিবেশে অন্তত একটা দিন অতিবাহিত করলে সম্পর্ক উন্নয়ন ও বন্ধুত্ব স্থাপনে পৃথিবীতে সম্প্রীতি ও বন্ধুত্বের যুুগের আগমন ঘটবে এবং শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে। সেই সূচনায় গতকাল শনিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বাংলাদেশ বন্ধু সমাজ আয়োজিত ‘হিংসামুক্ত বিশ্ব সম্প্রীতি দিবস’ উদযাপন অনুষ্ঠানে নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ বন্ধু সমাজের সভাপতি এফ. আহমেদ খান রাজীব। ‘মানুষের মাঝে বন্ধুত্ব ও সম্প্রীতির পরিবেশ সৃষ্টি করাই হচ্ছে বাংলাদেশ বন্ধু সমাজের মূল লক্ষ্য’ এমন মন্তব্য করে রাজীব খান বলেন, হিংসা-বিদ্বেষ-অহংকার পরিত্যাগ করে ভ্রাতৃত্ব-বন্ধুত্ব-সৌহার্দের মিশ্রণে সম্প্রীতি ও বন্ধুত্বের দেশ গড়তে পারলেই দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে।
বন্ধুত্বের বলয় সৃষ্টির আহ্বান জানিয়ে রাজীব খান বলেন, দেশ ও জাতির উন্নয়নে সকল ভেদাভেদ ভুলে সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। সকল পর্যায়ের বিরোধ নিষ্পত্তিতে ও সকল অশান্তিপূর্ণ পরিবেশকে শান্তিময় করতে বাংলাদেশ বন্ধু সমাজকে সাংবিধানিক বৈধতায় জাতীয়ভাবে স্বীকৃতি প্রদান করলে এই দেশটি অতিদ্রুত শান্তি, সম্প্রীতি ও বন্ধুত্বের দেশ হিসেবে পৃথিবীর মডেল সৃষ্টি হবে। রাজীব খান বলেন, বিগত বছরগুলার ন্যায় এবছরও বাংলাদেশসহ পৃথিবীবাসীকে ‘হিংসামুক্ত বিশ্ব সম্প্রীতি দিবস’ উদযাপনের মাধ্যমে আহ্বান জানাচ্ছি।
বাংলাদেশ বন্ধু সমাজের সভাপতি বলেন, সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্প্রীতি ও বন্ধুত্বের পরিবেশ সৃষ্টির সহযোগিতায় বাংলাদেশ বন্ধু সমাজকে সকল পক্ষের সেতু-বন্ধন বিবেচনায় মানবাধিকার কমিশন, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ন্যায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে সহযাত্রী স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন হিসেবে বাংলাদেশ বন্ধু সমাজকে সাংবিধানিক বৈধতাসহ জাতীয়ভাবে স্বীকৃতি প্রদান অথবা জাতীয়করণ করার জন্য দেশবাসীর পক্ষে রাষ্ট্রপতি ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টাসহ সকল নীতি-নির্ধারক মহোদয়গণকে অনুরোধ করছি।
রাজীব খান আরো বলেন, বাংলাদেশ বন্ধু সমাজের পক্ষে ২০২০ সালে প্রথম ৩১ ডিসেম্বর ‘কৃতজ্ঞতা প্রকাশ দিবস’ পালন করা হয়। এর ধারাবাহিকতায় আগামী ৩১ ডিসেম্বর ‘কৃতজ্ঞতা প্রকাশ দিবস’-এ ভালো কর্মের জন্য দেশবরেণ্য ৫০ জন ব্যক্তিকে কৃতজ্ঞতা সম্মাননা পদক উপহার দেয়ার প্রত্যাশা করছি।