বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতারের ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়ে বিবৃতি দেয়াকে ভারতের ‘অনধিকার চর্চা’ বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। গতকাল বুধবার বিবিসি বাংলার সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই মন্তব্য করেন। নাহিদ ইসলাম বলেন, আমরা মনে করে করি, এই ধরনের স্টেটমেন্ট দেয়া ভারতের অনধিকার চর্চা। এখানে তারা ঘটনাকে আরো উসকে দেয়ার চেষ্টা করছে। ভারতের উচিত তার নিজের দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা ও অধিকার নিশ্চিতে কাজ করা। তথ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা ভারতকে দায়িত্বশীল আচরণ করার আহ্বান জানাচ্ছি এবং আওয়ামী লীগের মিথ্যা প্রোপাগাণ্ডা যেন ভারত সাবস্ক্রাইব না করে।’
এর আগে গত মঙ্গলবার চিন্ময় দাসকে গ্রেফতার ও জামিন বাতিলের ঘটনায় মঙ্গলবার গভীর উদ্বেগ প্রকাশ বিবৃতি দেয় ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বিবৃতিতে বলা হয়, তাকে আটকের পর বাংলাদেশের চরমপন্থি গ্রুপগুলো হিন্দু সম্প্রদায় ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের ওপরও হামলা চালিয়েছে। এছাড়াও হিন্দু এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, ভাঙচুর এবং মন্দিরে হামলার মতো ঘটনাও ঘটছে বাংলাদেশে। সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনায় অপরাধীরা যেখানে ধরাছোঁয়ার বাইরে সেখানে একজন ধর্মীয় নেতা এসব অন্যায়ের বিরুদ্ধে যখন কথা বলেছে তার বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ এনে গ্রেফতার করা হয়েছে বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করে ভারত। এরপর গতকাল রাতেই পাল্টা বিবৃতি দিয়ে বাংলাদেশ হতাশা প্রকাশ করে। ভারতের এ ধরনের ‘অপ্রমাণিত বিবৃতি’ শুধু ঘটনাটিকে ভুলভাবেই তুলে ধরছে না, বরং প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে যে বন্ধুত্ব এবং বোঝাপড়ার সম্পর্ক রয়েছে, তার মনোভাবের বিরোধী বলেও বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।