ঢাকা ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

শেষ হলো স্কুলে ভর্তির আবেদন

বেসরকারিতে ফাঁকা থাকবে সাড়ে ৬ লাখ আসন

বেসরকারিতে ফাঁকা থাকবে সাড়ে ৬ লাখ আসন

দেশের সরকারি-বেসরকারি স্কুলে প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন শেষ হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন করার সুযোগ পেয়েছিল শিক্ষার্থীরা। এ সময় পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে মোট আবেদন করেছে ৯ লাখ ৬৫ হাজার ৭০৪ জন। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মাধ্যমিক বিভাগ সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।

মাউশির তথ্যমতে, বেসরকারি স্কুল ভর্তির জন্য আবদেন করেছে তিন লাখ ৩৯ হাজার ৮০০ জন শিক্ষার্থী। আর সরকারি স্কুলে ভর্তি হতে আবেদন জমা পড়েছে ৬ লাখ ২৫ হাজার ৯০৪টি।

সারাদেশের ৫ হাজার ৬২৫টি সরকারি-বেসরকারি স্কুলে লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। এসব স্কুলে সর্বমোট ভর্তিযোগ্য শূন্য আসন ১১ লাখ ১৬ হাজার ৩৩৩টি।

দেশের ৪ হাজার ৯৪৫টি বেসরকারি স্কুলে মোট ভর্তিযোগ্য আসন ১০ লাখ ৭ হাজার ৬৭১টি। আর বেসরকারি স্কুলে আবেদন জমা পড়েছে ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৮০০টি। সেই হিসাবে এবার ৬ লাখ ৬৭ হাজার ৮৭১ আসন ফাঁকাই পড়ে থাকবে।

ভিন্নচিত্র সরকারি স্কুলের ক্ষেত্রে। সারাদেশে সরকারি ৬৮০টি স্কুলে ১ লাখ ৮ হাজার ৬৬২টি ভর্তিযোগ্য শূন্য আসনের বিপরীতে আবেদন জমা পড়েছে ৬ লাখ ২৫ হাজার ৯০৪টি।

অর্থাৎ সরকারি স্কুলের শূন্য আসনের তুলনায় প্রায় ছয়গুণ বেশি শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য আবেদন করেছে। ফলে আগ্রহ থাকলেও আসন স্বল্পতায় সরকারি স্কুলে পড়ার সুযোগ পাবে না আবেদন করা ৫ লাখ ১৭ হাজার ২৪২ জন।

এদিকে আবেদনের সময়সীমা বাড়ানো হবে কি না, সে বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি মাউশি। অধিদপ্তরের মাধ্যমিক বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ড. খান মইনুদ্দিন আল মাহমুদ সোহেল বলেন, ‘আবেদন প্রক্রিয়া চলমান। শিক্ষার্থীরা প্রথম থেকে আগ্রহ নিয়ে আবেদন করছে। ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত এ আবেদন চলে। নির্ধারিত সময়ের পর আর সময় বাড়ানো হবে কি না, তা এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

আবেদন প্রক্রিয়া শেষে এবার ডিজিটাল লটারি অনুষ্ঠিত হবে। এরপর লটারির ফল প্রকাশ করা হবে। মাউশির সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী-আনুষ্ঠানিকভাবে লটারির সম্ভাব্য দিন ঠিক করা হয়েছে ১০ ডিসেম্বর। এরপর ১২ ডিসেম্বর লটারির কার্যক্রম শেষে ফল প্রকাশ করা হতে পারে। তবে বিশেষ কারণে এ তারিখে পরিবর্তন আসতে পারে।

মেধা-অপেক্ষমাণ তালিকা প্রকাশ ও চূড়ান্ত ভর্তি : ডিজিটাল লটারির ফল প্রকাশের পর ১৭ ডিসেম্বর শুরু হবে চূড়ান্ত ভর্তি কার্যক্রম, যা চলবে ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রথম অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ভর্তি শুরু হবে ২২ ডিসেম্বর থেকে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত। দ্বিতীয় অপেক্ষমাণ তালিকার ভর্তি চলবে ২৬ ডিসেম্বর থেকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। চূড়ান্ত ভর্তির ফি ও অন্যান্য খরচ : দেশের মফস্বল এলাকার স্কুলে সেশন চার্জসহ ভর্তি ফি সর্বসাকুল্যে ৫০০ টাকার বেশি হবে না। উপজেলা ও পৌর এলাকায় ১ হাজার টাকা, মহানগর এলাকায় (ঢাকা বাদে) সর্বোচ্চ ৩ হাজার টাকা। অন্যদিকে রাজধানীর এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো সর্বোচ্চ ভর্তি ফি নিতে পারবে ৫ হাজার টাকা। আংশিক এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভর্তি ফি নিতে পারবে ৮ হাজার টাকা। তবে ইংরেজি ভার্সনে ভর্তি ফি ১০ হাজার টাকা।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত