ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত সরকার সংশ্লিষ্ট অপরাধী রাজনীতিকদের নানাবিধ অপকর্ম ও অপরাধের সহযোগী আমলাদেরও গ্রেফতার পূর্বক বিচারের দাবি জানিয়ে এক বিবৃতিতে ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টির মহাসচিব, সাবেক পিপি অ্যাডভোকেট মো: নূরুল ইসলাম খান বলেছেন, সম্প্রতি সরকারের আমলা সচিবরা বলার চেষ্টা করছে যে, বিগত সরকারের আমলে জনপ্রশাসন সম্পূর্ণরূপে রাজনীতির কাছে জিম্মি ছিল। তাদের এ বক্তব্য গ্রহণযেগ্য হতে পারে না। প্রকৃত পক্ষে তখন আমলাদের অনেকেই রাজনীতিকদের জিম্মি করে তাদের মাথায় কাঁঠাল ভেঙে খেয়েছেন। তখন সংখ্যাগরিষ্ঠ আমলারা এতটা দাপটের সাথে ছিলেন যে, মন্ত্রী এমপিদেরও নিয়মিত অভিযোগ ছিল যে, আমলারা রাজনীতিকদের কথা শুনছেন না। বিগত ১৫ বছরে অবৈধ ও অযৌক্তিক হারে সম্পদ আহরণের ক্ষেত্রে রাজনীতিকদের তুলনায় আমলাদের কেউ কেউ কোনো অংশেই পিছিয়ে ছিলেন না। এটি দেশের অভ্যন্তরে অবৈধ বিপুল সম্পদ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে যেমন সত্য, তেমনি সত্য অবৈধ উপায়ে বিদেশে বিপুল টাকা পাচার করে সেখানে বাড়ি, ফ্ল্যাট ও অন্যান্য সম্পত্তির মালিকানা অর্জনের ক্ষেত্রেও। আমলারা যদি রাজনীতিকদের কাছে জিম্মিই থাকতো তাহলে রাতারাতি তাদের কেউ কেউ দেশে-বিদেশে এতো অবৈধ সম্পদের মালিক হলেন কি করে?
ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টির মহাসচিব অ্যাডভোকেট মো: নূরুল ইসলাম খান বিবৃতিতে আরো বলেন, আসলে বিগত সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত ও প্রশ্রয়ে বস্তুতঃ আমলারাই সেই সময়ে দেশ চালিয়েছেন এবং তারাই ছিলেন প্রকৃত সরকার। সেই সরকারের আমলের সকল অন্যায় অপকর্ম, অপরাধ ও একতরফা নির্বাচনের দায়ভার এখন শুধুমাত্র রাজনীতিকদের উপর চাপিয়ে তাদেরই বিচার করা হবে,আর তাদের সকল কৃত অপরাধের সহযোগী আমলারা ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকবে সেটা হতে পারেনা। এইসব কৃত অন্যায় ও অপরাধের জন্য দোষী রাজনীতিকদের সাথে তাদের সহযোগী দোষী আমলাদেরও গ্রেফতার করে বিচারের জন্য আদালতে সোপর্দ করা আবশ্যক। কারণ এতোদিন ক্ষমতাসীন রাজনীতিক ও আমলারা উভয়ই ছিলেন সমন্বিত ভাগবাটোয়ারাজনিত বন্দোবস্তের অধীনে।