‘খেলাপি ঋণের নতুন নীতি কার্যকর হলে পোশাক খাতে ধাক্কা আসতে পারে’

প্রকাশ : ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) নেতারা বলেছেন, খেলাপি ঋণ নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন নিয়ম বেসরকারি খাত বিরোধী পদক্ষেপ। এতে বিনিয়োগ ব্যাহত হবে। কর্মসংস্থানে প্রভাব পড়বে। সবমিলিয়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতায় প্রভাব পড়বে। এপ্রিল মাস থেকে খেলাপি ঋণের নতুন নীতি কার্যকর হলে তৈরি পোশাক খাতে বড় ধরনের ধাক্কা আসতে পারে। গত শনিবার রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমইএ দপ্তরে ব্যবসা-বাণিজ্য পরিস্থিতি ও শিল্প কারখানার নিরাপত্তা বিষয়ে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় ব্যবসায়ী ও বাণিজ্য সংগঠনগুলোর নেতারা এমন মন্তব্য করেন। বিজিএমইএর প্রশাসক মো. আনোয়ার হোসেন এতে সভাপতিত্ব করেন। মতবিনিময় সভায় দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য পরিস্থিতি, শিল্প কারখানার নিরাপত্তা, পোশাক শিল্পসহ সব শিল্প কারখানার বিরাজমান পরিস্থিতি, নিরাপত্তহীনতা, প্রয়োজন অনুযায়ী গ্যাস না পাওয়া এবং ব্যাংক সংক্রান্ত সমস্যার বিষয়গুলো আলোচনায় উঠে আসে। বিশেষ করে সম্প্রতি মাহমুদ জিন্স কারখানার ডিএমডির ওপর হামলার উদ্ধৃতি দিয়ে বাণিজ্য সংগঠনের নেতারা বলেন, এতে করে দেশের সামগ্রিক শিল্প খাতে গভীর উৎকণ্ঠার সৃষ্টি হয়েছে। এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলে উদ্যোক্তারা কারখানা পরিচালনায় নিরুৎসাহিত হবেন। একইসঙ্গে দেশের ব্যবসা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগও ঝুঁকিতে পড়বে। যা মোটেও কাম্য নয়। ব্যবসায়ী নেতারা সরকারের প্রতি দাবি জানিয়ে বলেন, অর্থনীতি ও শিল্পের স্বার্থে প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রাখতে, কর্মসংস্থান সুরক্ষিত রাখতে শিল্পাঞ্চলগুলোতে সুষ্ঠু আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখতে হবে। পোশাক শিল্পসহ সব শিল্প ও কারখানার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। তারা বলেন, এলডিসি তালিকা থেকে বের হলে বাংলাদেশ স্বয়ংক্রিয়ভাবে কিছু বাণিজ্য ও অন্যান্য সুবিধা হারাবে। বাংলাদেশের সক্ষমতা বিবেচনায় নিয়ে বিশ্ব বাজারে বাংলাদেশের প্রতিযোগী সক্ষমতা বৃদ্ধি ও এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতির জন্য আরো কিছুটা সময় দরকার। সেক্ষেত্রে এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের সময়সীমা ৩-৬ বছরের জন্য পেছানো যেতে পারে বলে বাণিজ্য সংগঠনগুলোর নেতারা মতপ্রকাশ করেন।