বঙ্গোপসাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য শেষ পর্যন্ত কোনো কোম্পানি দরপত্র জমা দেয়নি। গতকাল সোমবার দুপুরে দরপত্র জমা দেয়ার সময় শেষ হয়। পেট্রোবাংলার সূত্রগুলো বলছে, শুরুতে সাতটি আন্তর্জাতিক কোম্পানি দরপত্র কিনলেও শেষ পর্যন্ত তাদের কেউই দরপত্র জমা দেয়নি। তবে এ বিষয়ে কয়েক দফা পেট্রোবাংলা চেয়ারম্যান জনেন্দ্রনাথ সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করেও তার কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি। বিগত আওয়ামী লীগ সরকার ছয় মাস সময় দিয়ে গত ১০ মার্চ দরপত্র আহ্বান করে। শুরুতেই তেমন সাড়া না পেয়ে সাবেক সরকার সময় বাড়ানোর কথা জানায়। অন্তর্বর্তী সরকার তিন মাস বাড়িয়ে ৯ ডিসেম্বর শেষ সময় নির্ধারণ করে। তবে কেন এই দরপত্র জমা পড়লো না, সে বিষয়ে কোনো ব্যাখ্যা জানা যায়নি।
সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে বহুজাতিক কোম্পানি বাংলাদেশে কাজ করতে আগ্রহী নয়। এরই মধ্যে দেশে কাজ করছে এমন বহুজাতিক কোম্পানি বাংলাদেশে নতুন করে বিনিয়োগ করতে চাইছে না।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের মে মাসে রাজধানীর একটি হোটেলে এ বিষয়ে অনুষ্ঠিত এক সেমিনার শেষে তৎকালীন প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছিলেন, বাংলাদেশের সমুদ্রে কাজ করার অনেকেই আগ্রহ প্রকাশ করেছে। সাতটি কোম্পানি দরপত্র কিনেছে বলেও তিনি তখন জানিয়েছিলেন। জেনে রাখা দরকার, বর্তমানে গভীর ও অগভীর সাগরের মোট ২৬টি ব্লকের মধ্যে ৪ ও ৯ নম্বর ব্লকে কাজ করছে ভারতীয় কোম্পানি- অয়েল অ্যান্ড ন্যাচারাল গ্যাস কর্পোরেশন লিমিটেড (ওএনজিসি)।
আন্তর্জাতিক আদালতে ২০১২ সালে মিয়ানমার ও ২০১৪ সালে ভারতের সঙ্গে সমুদ্র সীমানা বিরোধ নিষ্পত্তির পর সর্বমোট ১ লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গকিলোমিটারের বেশি সমুদ্র অঞ্চলের ওপর মালিকানা নিরঙ্কুশ হয়। কিন্তু এখনও সেই অর্থে সাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান শুরু হয়নি।