প্রতিবেশী দেশ ভারতের উদ্দেশে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, দয়া করে ভালো হয়ে যান। বাংলাদেশ নিয়ে মাথা ঘামাবেন না। ড. ইউনূস বলেই দিয়েছেন পাশেই সেভেন সিস্টার। আমরা মাথা ঘামাতে চাই না। আমার দেশ একটি স্বাধীন দেশ। আমরা স্বাধীনভাবে বসবাস করতে চাই। আমি স্বাধীনভাবে নির্বাচন করতে চাই। কারো হস্তক্ষেপ কামনা করি না। তিনি বলেন, আপনার কারণে বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল হতে পারে। কিন্তু একবার আসেন, আপনাদের প্রতিহত করতে আগরতলার কাছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার লোকই যথেষ্ট। কথাবার্তা একটু ভালো করে বলেন।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী নবীন দলের ১২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
ভারতকে উদ্দেশ্য করে জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, আপনারা কী চায়? এখনতো শেখ হাসিনা নেই। শেখ হাসিনার কিছু প্রেতাত্মা থাকলেও দল এখন শাসন করছে না। তাহলে ভয় কিসের? যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল ঢাকা থেকে আগরতলা অভিমুখে লংমার্চ করেছে, সেই আগরতলার সহকারী হাইকমিশনারে হামলা করেছে; জাতীয় পতাকাকে ছিঁড়ে ফেলেছে। শেখ হাসিনার ওপর ভর করে এদেশে রাজত্ব কায়েম করেছেন। একদলীয় শাসন কায়েম করেছেন। সংবিধানকে তছনছ করে দিয়েছেন। বিচারপতির এজলাসে লাথি মেরেছেন। আয়নাঘর তৈরি করেছেন। সেই দিন এখন আর নেই। ষড়যন্ত্র আপনারা যতই করেন, কোনো লাভ হবে না। তারেক রহমান বাংলাদেশে আসবে। এক মাথা এক ভোটে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন।
তিনি আরো বলেন, আপনারা চেয়েছিলেন শেখ হাসিনার মাথায় হাত রেখে বাংলাদেশে সেভেন সিস্টারের মতো এইট সিস্টার বানাবেন। কল্পনা করেই গেছেন, কিন্তু লাভ হয়নি। শেখ হাসিনা আশ্রয় নিয়েছে আপনার কাছে। যদি সত্যিই আপনাদের গণতান্ত্রিক দেশ হন, বিশ্বের বৃহত্তম দেশ হয়ে থাকে, তাহলে উচিত শেখ হাসিনাকে ইউনূস সরকারের কাছে হস্তান্তর করা। তাহলে আমরা বিশ্বাস করতাম আপনারা বাংলাদেশের মানুষকে সম্মান করেন। মমতাকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, মমতাকে মনে করেছি সে খাটি গণতান্ত্রিক। কিন্তু তার কথাবার্তা এবং আচরণে আমার মনে হচ্ছে, সে শেখ হাসিনার পক্ষে কথা বলার চেষ্টা করছে। আপনিও দিল্লির দ্বারা নিষ্পেষিত। দয়া করে আপনি আমাদের নিষ্পেষিত করার ষড়যন্ত্রে হাত রাখবেন না।