জনসমর্থনের বাইরে গেলে সরকার এক সপ্তাহ টিকে থাকতে পারবে না : নূর
প্রকাশ : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
জনসমর্থনের বাইরে গেলে সরকার এক সপ্তাহ টিকে থাকতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূর। গতকাল শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদ কর্তৃক ‘ভারতীয় আগ্রাসন ও আধিপত্য বিরোধী’ জাতীয় যুব সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। নুরুল হক নূর বলেন, এই সরকারের প্রতি আমাদের ক্ষোভ আছে, রাগ আছে। প্রয়োজনে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করবো। আমাদের দাবি আদায়ে বাধ্য করবো। কিন্তু এখনই ফেলে দিতে হবে, এই সরকারকে চলে যেতে হবে, এই লাইনে যাওয়া যাবে না।
এ সরকারের জনগণের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। জনগণের বাইরে গেলে, জনসমর্থনের বাইরে গেলে তারা এক সপ্তাহ টিকে থাকতে পারবে না। তিনি বলেন, অনেক আশা-আকাঙ্ক্ষা নিয়ে এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দিকে গোটা জাতি তাকিয়ে আছে। কিন্তু দুঃখজনক হলো, সরকার জাতির মনের আশা-আকাঙ্ক্ষা বুঝতে পারছে না। জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতনে সমস্ত রাজনৈতিক দল, শিল্পী, সাহিত্যিক সবার প্রত্যাশা ছিল এই বাংলাদেশকে পুনর্গঠন করার জন্য হাসিনার পতন পরবর্তী নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ করার জন্য আন্দোলনের অংশীজনদেরকে নিয়ে জাতীয় সরকার গঠন করা হবে। রাষ্ট্র সংস্কার করা হবে। কিন্তু দুঃখজনক আমরা দেখলাম, যাদেরকে আমরা সরকার গঠনের দায়িত্ব দিলাম, তারা তাদের সার্কেলের বন্ধুবান্ধব এবং তাদের লোকজনদেরকে নিয়ে সরকার গঠন করলেন। মানুষকে হতাশ করলেন। আন্দোলনে থাকা নেতারা এবং রাজনৈতিক দলগুলোর মনে আঘাত দিলেন। যার ফলে এখন রাজনৈতিক দলগুলো দ্রুত সময়ে নির্বাচন চাচ্ছে। রাজনৈতিক দলগুলো এখন সরকারের কর্মকাণ্ডে সন্দেহ সংশয় প্রকাশ করছে। ডাকসুর সাবেক এই ভিপি বলেন, রাষ্ট্র সংস্কারের পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোরও সংস্কার জরুরি। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যদি গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ এবং গণতান্ত্রিক জোট না থাকে তাহলে তার মধ্যে ক্ষমতার লোভ পেয়ে বসবে। কাজেই রাজনৈতিক দল গুলোর মধ্যেও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ প্রসারিত করতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর সংস্কার করার প্রয়োজন আছে। তিনি বলেন, আজকে বাংলাদেশে যে সংকট তৈরি হয়েছে, বিশেষ করে শেখ হাসিনার পতনের পরে ভারতের সাথে বাংলাদেশের যে সংকট তৈরি হয়েছে, আমরা মনে করি এই সংকটের জন্য ভারত দায়ী। সরকারের পক্ষ থেকে সুস্পষ্ট বার্তা ছিল এবং রাজনৈতিক দলগুলো বলেছে, ভারতের সাথে বাংলাদেশের যে কূটনৈতিক সম্পর্ক সেটি স্বাভাবিকভাবেই চলবে। তবে আওয়ামী লীগকে তারা (ভারত) দাস-দাসীর মতো ব্যবহার করেছে, এই অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশের সরকারকে সেভাবে দাস-দাসীর মতো ব্যবহার করতে পারবে না।