সিরাজগঞ্জ মুক্ত দিবস আজ

প্রকাশ : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  স্টাফ রিপোর্টার, সিরাজগঞ্জ

আজ ১৪ ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জ হানাদার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এ দিনে পাক হানাদার বাহিনী সিরাজগঞ্জ শহর ছেড়ে পালিয়ে যায়। বীর মুক্তিযোদ্ধারা শহরে বিজয়ের প্রতীক স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উড়িয়ে দেন। ১০ ডিসেম্বর থেকে সিরাজগঞ্জে পাক হানাদার বাহিনীর মনোবল ভাঙতে শুরু করে এবং তাদের সহযোগীরা সীমাবদ্ধ হতে থাকে। ১৩ ডিসেম্বর রাতে মুক্তিযোদ্ধারা পাক হানাদার বাহিনীকে তিনদিক থেকে ঘিরে ফেলে এবং স্থল ও নৌপথ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেন। পাক হানাদারদের দখলে থাকে একমাত্র রেলপথ। সিরাজগঞ্জের মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত আমির হোসেন ভুলু, প্রয়াত ইসমাইল হোসেন, পলাশডাঙ্গা যুব শিবিরের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত আব্দুল লতিফ মির্জা, প্রয়াত আমিনুল ইসলাম চৌধুরী, যুদ্ধকালীন ব্যাটালিয়ন কমান্ডার প্রয়াত লুৎফর রহমান অরুন, গাজী শফিকুল ইসলাম শফি, কোম্পানি কমান্ডার ও পান্না বাহিনীর প্রধান প্রয়াত টিএম শামীম পান্নাসহ বীর মুক্তিযোদ্ধারা সিরাজগঞ্জের রেলওয়ে ঘাট, যমুনা নদীর তীর এলাকা, কাজিপুর মোড়সহ বিভিন্ন এলাকায় সমবেত হন। এ সময় পাক হানাদার তাদের নিশ্চিত পরাজয় জেনে মুক্তিযোদ্ধাদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সিরাজগঞ্জ ছেড়ে ট্রেনযোগে ঈশ্বরদীর দিকে পালিয়ে যায়। মুক্তিযোদ্ধাদের অগ্রবর্তী বাহিনীও রেকি করতে পাঠানো হানাদারদের পালিয়ে যাবার খবর সম্পর্কে নিশ্চিত হন এবং সে সময় জয় বাংলা ধ্বনি ও ফাঁকা গুলি ছুঁড়তে ছুঁড়তে সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজে শহীদ মিনারের পাদদেশে সমবেত হন মুক্তিযোদ্ধারা। এ সময় মুক্তিযোদ্ধারা সেখানে দেশ গঠনের শপথ নেন। এখানে প্রয়াত আমীর হোসেন ভুলুকে মুক্তিবাহিনীর আঞ্চলিক অধিনায়ক ও ইসমাইল হোসেনকে প্রশাসনিক প্রধান হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এদিকে সিরাজগঞ্জ শহর থেকে পাক হানাদারদের পালিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জেলার বেলকুচি, কামারখন্দ, রায়গঞ্জ, চৌহালী, উল্লাপাড়া, শাহজাদপুর থানা এলাকাসহ অন্যান্য এলাকাগুলোও হানাদার মুক্ত হয়। ১৪ ডিসেম্বর ভোরে সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার ওয়াপদা অফিসে পাকবাহিনীর মূল ক্যাম্প দখলে নেন মুক্তিযোদ্ধারা। ওইদিন কওমী জুটমিল, মহকুমা প্রশাসকের কার্যালয়সহ বিভিন্ন স্থানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।