একদিনের জন্য হলেও স্বৈরাচার শেখ হাসিনাকে আয়নাঘরে যেতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক। তিনি বলেন, ভারতে বসে শেখ হাসিনা আরামে কফি খাচ্ছেন, পার্কে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। কিন্তু আপনাকে বাংলাদেশে আসতেই হবে, বিচারের মুখোমুখি দাঁড়াতেই হবে। আপনি যদি খালেদা জিয়াকে জেলখানায় পাঠাতে পারেন তাহলে আপনাকেও কাশিমপুর কারাগারে যেতে হবে। গতকাল শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী চালক দলের উদ্যোগে ‘নির্বাচনি রোডম্যাপ ও জনআকাঙ্ক্ষা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ভারতের উদ্দেশে জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, আপনারা দয়া করে সোজা হয়ে যান। বিজয় দিবস নিয়ে মমতা কী বলল, মোদি কী বলল তাতে আমাদের কিছু আসে যায় না। বিএনপির তিনটি সংগঠন আগরতলার উদ্দেশ্যে লংমার্চ করছে। আগরতলার পাশে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আছে ভারতের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া যথেষ্ট। বাংলাদেশের মানুষ অনেক সচেতন। গরিব হতে পারে কিন্তু মনটা বড়। তিনি বলেন, জাতীয়তাবাদী শক্তিকে নষ্ট করার জন্য আবার ষড়যন্ত্র চলছে। শহীদ জিয়ার জনপ্রিয়তাকে নষ্ট করার ষড়যন্ত্র চলছে। দেশে আওয়ামী লীগের লোকজন ঝামেলার সৃষ্টি করে বিএনপির ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা করছে। বাংলাদেশে অন্য ধর্মের মানুষ ভালো আছে। হিন্দুদের ওপর অত্যাচার হচ্ছে এগুলো বলে কোনো লাভ নেই।
১৬ ডিসেম্বরের অনুষ্ঠানে ওসমানী কেন আসল না এমন প্রশ্ন রেখে বিএনপির এই নেতা বলেন, তাকে কি আসলে আসতে দেয়া হয়নি? হেলিকপ্টার আসলে কি খারাপ ছিল? নাকি পাকিস্তান আত্মসমর্পণ করার পর আধুনিক সব অস্ত্র ভারতে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল। আপনারা সহযোগিতা করেছেন তাই আমরা কৃতজ্ঞ। কিন্তু পাকিস্তানের ৫০০ টাকার নোটগুলো আপনারা নিয়ে গেছেন।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, ওদের (ভারত) কথায় চিন্তা করার দরকার নেই। বাংলাদেশের মানুষের কথা চিন্তা করুন। সামনে রোজা আসছে, আওয়ামী লীগের কোনো লোকজন যাতে সিন্ডিকেট না করতে পারে সে বিষয়ে দৃষ্টি রাখুন। বিএনপির এই নেতা আরো বলেন, ওবায়দুল কাদের তিন মাস পর কীভাবে দেশ থেকে পালায় সেটা নাকি উপদেষ্টারা জানে না, তাহলে জানেন কে? সংস্কারের নামে নির্বাচন পেছানোর কোনো মানে হয় না। অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশ্যে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের রহমাতুল্লাহ বলেন, নির্বাচন নিয়ে এই সরকার থেকে আমরা সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য পাচ্ছি না। প্রধান উপদেষ্টা এক কথা বলছেন, আবার তার প্রেস সচিব পরদিন আরেক কথা বলছেন। জনগণ দ্বিধাদ্বন্দ্বে রয়েছে, রাজনীতি নেতারা শঙ্কায় রয়েছে। জনগণের প্রত্যাশা পূরণে অবিলম্বে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দিন।