চার ধরনের সঞ্চয়পত্র ও ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংকের মেয়াদি হিসাবের ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারী বিনিয়োগের ঊর্ধ্বসীমা পর্যন্ত আমৃত্যু পুনঃবিনিয়োগ সুবিধা পাবেন। তবে প্রতিবার পুনঃবিনিয়োগের জন্য অনলাইনে বা সশরীর গ্রাহকের সম্মতি নিতে হবে। এর আগে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনের স্পষ্টীকরণের মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ এ সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। গত ৩ নভেম্বর অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল। পরে ১৮ নভেম্বর ওই প্রজ্ঞাপনের শর্তাবলি আরো স্পষ্ট করার লক্ষ্যে আরেকটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে সঞ্চয়পত্রের গ্রাহককে শর্ত সাপেক্ষে আমৃত্যু পুনঃবিনিয়োগ সুবিধা দেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। যেসব সঞ্চয়পত্রের গ্রাহকরা পুনঃবিনিয়োগ সুবিধা পাবেন সেগুলো হলো ৫ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র, পরিবার সঞ্চয়পত্র, পেনশনার সঞ্চয়পত্র এবং তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র। তবে যেসব তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র, পরিবার সঞ্চয়পত্র ও পেনশনার সঞ্চয়পত্র চলতি বছরের ১ ডিসেম্বর বা তারপর মেয়াদোত্তীর্ণ হবে, সেসব সঞ্চয়পত্র এই সুবিধা পাবে। ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ইস্যু করা সঞ্চয়পত্রের ক্ষেত্রেও এই সিদ্ধান্ত প্রযোজ্য হবে। বিনিয়োগের ঊর্ধ্বসীমা অতিক্রম করার ক্ষেত্রে একজন গ্রাহক তার জন্য প্রযোজ্য ঊর্ধ্বসীমা পর্যন্ত পুনঃবিনিয়োগ সুবিধা পাবেন। ঊর্ধ্বসীমার অতিরিক্ত অর্থ স্বয়ংক্রিয়ভাবে গ্রাহকের ব্যাংক হিসাবে পাঠিয়ে দেয়া হবে। এছাড়া জাতীয় সঞ্চয় স্কিম অনলাইন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের আওতায় একটি নতুন সুবিধা চালু হবে, যার মাধ্যমে একজন বিনিয়োগকারী ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে অনলাইনে পুনঃবিনিয়োগের আবেদন করতে পারবেন।