ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টির মহাসচিব, সাবেক পিপি অ্যাডভোকেট মো: নূরুল ইসলাম খান বলেছেন, দেশের রাজনৈতিক দলগুলো যদি গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হতো, দলের অভ্যন্তরে নেতৃত্ব নির্বাচনে গণতান্ত্রিক চর্চা অব্যাহত থাকতো, তাহলে রাষ্ট্রেরও গণতন্ত্রে উত্তরণ সহজ হতো। রাজনৈতিক দলগুলোর অগণতান্ত্রিক কাঠামোর কারণেই রাষ্ট্রের অগণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকে। তাই রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক উত্তরণের জন্য রাজনৈতিক দলের গণতান্ত্রিকীকরণ অত্যাবশ্যক। কারণ রাজনৈতিক দলগুলোর গণতান্ত্রিকীকরণ ব্যতীত দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া টেকসই হবে না। আগামীতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় গিয়েও অতীতের মতো এসব দলীয় সরকার পুণরায় ফ্যাসিবাদী আচরণ শুরু করার সমূহ ঝুঁকি থেকেই যাবে। এসব ক্ষমতা প্রত্যাশী দলের নেতাকর্মীরা এখনই হাটবাজার, ব্রিজ, ব্যবসা-বাণিজ্য, পরিবহন সব সেক্টরে হুমকি-ধমকি দিয়ে চাদাবাজি, দখল বাণিজ্যসহ ফ্যাসিবাদী আচরণ শুরু করে দিয়ছে। তাই গণতন্ত্রের স্বার্থেই রাজনৈতিক দলগুলোতে গণতান্ত্রিক সংস্কার জরুরি। গতকাল সকালে ধানমন্ডি কলাবাগানস্থ ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত দলের কেন্দ্রীয় সম্পাদকম-লীর সভায় সভাপতির বক্তব্যে মহাসচিব অ্যাডভোকেট মো: নূরুল ইসলাম খান আরো বলেন, স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশে বিগত ৫৪ বছরে রাজনৈতিক দলীয় সরকারের অধীনে একটি নির্বাচনও সুষ্ঠু হয়েছে এমন উদাহরণ নেই। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক দলগুলোর অক্ষমতার কারণেই দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার উদ্ভব ঘটেছিল। আমরা লক্ষ্য করেছি তত্¦াবধায়ক সরকারের তত্ত্বাবধানে সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে পালাক্রমে দুটি দল রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসীন হয়ে উভয় দলই ক্ষমতা চিরস্থায়ী করতে চেয়েছিল এবং সে লক্ষ্যেই তারা ক্ষমতা নিরঙ্কুশ রাখার চেষ্টা করছে। ফলশ্রুতিতে ক্ষমতাসীন এসব রাজনৈতিক দলের ক্ষমতার লোভ ও অগণতান্ত্রিক আচরণের কারণে দেশের জনগণকেই বারবার ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে, বারবার অমূল্য প্রাণ ঝড়াতে হয়েছে সাধারণ জণগণকে। রাজনীতির এই ধারার চিরস্থায়ী অবসানের জন্যই রাজনৈতিক দলের সংস্কার জরুরি। এ লক্ষ্যে কাজ করার জন্য মহাসচিব অ্যাডভোকেট মো: নূরুল ইসলাম খান দলের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান। সভায় বক্তব্য রাখেন, দলের অতিরিক্ত মহাসচিব মো: ওমর ফারুক, প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী মাসুদ আহম্মেদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: হাবিবুর রহমান, মুফতি আহসান উল্লাহ সালামী, মাওলানা আনিসুর রহমান শেখ, মো: মামুন পারভেজ, যুগ্ম মহাসচিব মুফতি হুমায়ুন কবির, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা সামসুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আবু বকর।