বন ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ নিশ্চিত করতে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সম্পৃক্ততার পাশাপাশি সিপিজি তথা কমিউনিটি পেট্রোল গ্রুপের কার্যক্রম চলমান রাখা অত্যন্ত জরুরি। সিপিজি কার্যক্রমকে চলমান রাখতে বন বিভাগের সহযোগিতা দরকার। আরণ্যক ফাউন্ডেশন আয়োজিত সিপিজি কার্যক্রমে টেকসই অর্থায়ন শীর্ষক ওয়ার্কশপে বক্তারা এ কথা বলেন। গত সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকালে শহরের অভিজাত একটি হোটেলের হলরুমে এই ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত হয়।
ওয়ার্কশপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আরণ্যক ফাউন্ডেশন নির্বাহী পরিচালক রকিবুল হাসান মুকুল বলেন, বন ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে সিজিপি কার্যক্রম অপরিহার্য। আগামী বছরের এপ্রিলে শেষ যাওয়া ইউএসএআইডি অর্থায়নে গ্রীন লাইফ প্রকল্পের সিপিজি ভোলান্টিয়ারদের কার্যক্রম চলমান রাখতে ইনানীর শফির বিল এলাকায় নির্মিতব্য পার্কটির দ্রুত সময়ের মধ্যে গেইট মানির অনুমোদনে যথাসম্ভব দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বন বিভাগের প্রতি আহ্বান জানান। তাছাড়া আরণ্যক ফাউন্ডেশনের প্রাইভেট গ্রিন স্পেস কনজারভেশন লিমিটেডের কমার্শিয়াল পোল্ট্রি ফার্ম থেকে আয়ের কিছু অংশ সিপিজি কমিউনিটি পেট্রোল গ্রুপের বেতন হিসেবে দেয়া হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) প্রান্তোষ রায় বলেন, বন বিভাগের সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে বনের পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে সিপিজির ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সভাপতির বক্তব্যে কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. নূরুল ইসলাম বলেন, দক্ষিণ বন বিভাগের আওতাধীন ইনানী এলাকায় ১৫৪জন সিপিজির কার্যক্রম বন ও বন্য প্রাণী সংরক্ষণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। তাদের কার্যক্রম চলমান রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাব। ওয়ার্কশপের শুরুতে গ্রিন লাইফ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক বখতিয়ার নুর সিদ্দিকী একটা প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে সবাইকে অংশগ্রহণ করার সুযোগ দেন। এবং ১৫৪ জন সিপিজি সদস্যের কার্যক্রম চলমান রাখতে উন্মুক্ত আলোচনার মাধ্যমে সমাধান বের করার পরামর্শ দেয়ার সুযোগ করে দেন। এসময় ইনানী সহ-ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি একেএম শহিদুল্লাহ কায়সার, উত্তর ও দক্ষিণ বন বিভাগের অনেক কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।