প্রগতিশীল ইসলামী জোট এর সমন্বয়ক, ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টির মহাসচিব, সাবেক পিপি এডভোকেট মো. নূরুল ইসলাম খান বলেছেন, বিদায়ী বছরের ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানের পর রাষ্ট্র সংস্কারের পক্ষে একটি গণ আকাঙ্খা সৃষ্টি হয়েছে। আজ দেশের মানুষ রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন চায়। ৫ আগস্টের অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পথ খুলেছে ঠিকই কিন্তু নির্বাচন কবে হবে তা নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, আন্দোলনকারী ছাত্র নেতৃত্ব ও ক্ষমতা প্রত্যাশী রাজনৈতিক দলের দ্বন্দ্ব ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। শুধু তাই নয় নির্বাচনই সবকিছু কি না সেই প্রশ্নও করছে অনেকেই। সংস্কার ও নির্বাচন এ দুটি বিযয়েই রাজনৈতিক শক্তি গুলোর মধ্যে ঐকমত্য নেই। কোনো কোনো দল দ্রুত নির্বাচন চাচ্ছে আবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ কিছু দল নির্বাচনের আগে রাষ্ট্র সংস্কার সম্পন্ন করার পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। ফলে জনমনে এক ধরনের অনিশ্চয়তা আছে দেশের ভবিষ্যত রাজনীতি নিয়ে, ভবিষ্যতের রাজনৈতিক ব্যবস্থা ও রাজনৈতিক চর্চা কেমন হবে তা নিয়ে। গতকাল শনিবার সকালে ধানমন্ডি কলাবাগানস্থ প্রগতিশীল ইসলামী জোটের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জোটের শরীক দল বাংলাদেশ জাতীয় লীগ ও সাধারণ ঐক্য আন্দোলনের নেতাদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় জোটের সমন্বয়ক ও ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টির মহাসচিব এডভোকেট মো. নূরুল ইসলাম খান আরো বলেন, বাংলাদেশে এ যাবতকালের একটি নির্বাচিত সরকারও জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি। এমনি অবস্থায় আমরা মনে করি বিদ্যমান রাষ্ট্র ব্যবস্থায় জনগণের মুক্তি ও কল্যাণ অসম্ভব। রাষ্ট্র সংস্কারের মাধ্যমে এ ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন ছাড়া জনগণের ভাগ্য বদল হবে না।