বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরার বিষয়ে কথা বলেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। প্রায় দুই সপ্তাহ লন্ডন সফর শেষে গতকাল রোববার দুপুরে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, অবশ্যই দেশে ফিরবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, এখনো পর্যন্ত তারেক রহমানের দেশে ফেরার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ আমরা তৈরি করতে পারিনি। সেজন্য অল্প কিছু সময় লাগবে। তবে তিনি অবশ্যই আসবেন।
এক-এগারোর তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর ২০০৭ সালের ৭ মার্চ তারেক রহমানকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এরপর তাকে ১৩টি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে রিমান্ডেও নেয়া হয়। ১৮ মাস পর ২০০৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর জামিনে কারামুক্ত হন তিনি। এর আট দিন পর ১১ সেপ্টেম্বর দেশ ছেড়ে যুক্তরাজ্যে চলে যান। তখন থেকে সপরিবারে লন্ডনে অবস্থান করছেন। যুক্তরাজ্যে থাকা অবস্থায় একাধিক মামলায় কারাদণ্ড হয় তারেক রহমানের।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর কারাগার থেকে মুক্ত হন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ দলটির অধিকাংশ নেতা। সরকার পরিবর্তনের পর তারেক রহমান দ্রুত দেশে ফিরবেন বলে দলটির নেতাকর্মীরা ভেবে নিলেও পাঁচ মাসেও ফেরেননি তারেক রহমান। কবে নাগাদ তিনি দেশে ফিরতে পারেন এ নিয়ে দলটির নেতাকর্মীরা ধোঁয়াশায় রয়েছেন। এমন অবস্থার মধ্যে তারেক রহমান কবে যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফিরতে পারেন সে বিষয়ে তথ্য জানান বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন আহমেদ।
তারেক রহমানের সঙ্গে কী কী বিষয়ে কথা হয়েছে জানতে চাইলে সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, এ বিষয়ে আপনারা ধীরে ধীরে জানতে পারবেন। তবে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ঐক্যের কথা বলেছেন। বিএনপির এই নেতা আরো বলেন, বাংলাদেশে বর্তমানে ফ্যাসিবাদবিরোধী যে ঐক্য গড়ে উঠেছে তার বাস্তবায়নে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় আমাদের যাওয়া উচিত। জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতে যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচনের দিকে যাওয়া উচিত। ভাসা ভাসা সময় না, সবার সঙ্গে আলোচনা করে একটা সঠিক রোডম্যাপ দিতে হবে। নতুন রাজনৈতিক শক্তির উদয় হলে আমরা স্বাগত জানাবো তবে কিংসপার্টির মতো যেনো না হয়। সংবিধান নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সংবিধান কখনো কবর দেয়া যায় না। পরিবর্তন, পরিবর্ধন বা সংশোধন হতে পারে।