বিএনপি চেয়াপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেছেন, নির্বাচন আগে নাকি সংস্কার আগে একথা যারা বলেন, তাদের বলব, সংস্কার হচ্ছে একটা অন্তহীন প্রক্রিয়া। তিনি বলেন, যতদিন পৃথিবী থাকবে, এ দেশ থাকবে, ততদিন সংস্কার চলমান থাকবে। কিন্তু দীর্ঘ ১৭-১৮ বছর ধরে বাংলাদেশের মানুষের যে প্রাণের আকাঙ্ক্ষা, ভোটকেন্দ্রে গিয়ে একটি ভোট দেয়া, সেটা পূরণ করতে আপত্তি কোথায়? গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত তৃণমূল নাগরিক আন্দোলনের উদ্যোগে আয়োজিত এক নাগরিক অবস্থান কর্মসূচিতে এসব কথা বলেন তিনি। আলাল বলেন, আমরা সংস্কারের জন্যই একত্রে, এক মিছিলে, এক কাতারে শামিল হতে চাই। যেখানে ইসলামপন্থি দলগুলো থাকবে। আবার অন্য ধর্মের মানুষও থাকবে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব অক্ষুণ্ণ রাখতে যারা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ তারাই সেখানে থাকবে। এখানে বিভাজনের কোনো সুযোগ নেই। তার মতে, নির্বাচনের মাধ্যমে যদি একটি নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়, তাদের কাছে যে শক্তি, সাহস ও দক্ষতা থাকবে তা দিয়ে অনেক সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। যেগুলো এ সরকারের (অন্তর্বর্তীকালীন সরকার) পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। বিএনপি চেয়াপারসনের এই উপদেষ্টা বলেন, আজকে বাংলাদেশে অনেক সমস্যা। বিএনপি একমাত্র রাজনৈতিক দল, যাদের পক্ষ থেকে দুই বছর আগে জাতির মুক্তির সনদ হিসেবে সংস্কার কর্মসূচি দেয়া হয়েছিল। আজকে এই সরকারও সংস্কারের কথা বলছে। জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের ছোট্ট বন্ধুরা, শিক্ষার্থীরাও সংস্কারের কথা বলছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ করে আলাল বলেন, আমরা আপনাদের সম্মান করি। আমরা আপনাদের অবদানকে স্বীকার করি। একই সঙ্গে বলি যারা অভিজ্ঞ, যারা দেশ পরিচালনা করেছে তাদের কাছ থেকে পরামর্শ ও সহায়তা নেন। ধর্মের নামে, সংখ্যালঘুদের নামে ৫০টি সংগঠন আগে থেকেই বাংলাদেশে ছিল। নতুন করে আরো ১৩টি প্ল্যাটফর্ম দাঁড়িয়েছে। ধর্ম নিয়ে হানাহানি, ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি কেন? বেশি প্রয়োজন হচ্ছে যার যার ধর্ম সুন্দরভাবে এবং স্বাধীনভাবে পালন করা। দেশের মূল উদ্দেশ্য হওয়া উচিত একটি গণতান্ত্রিক সরকারের দিকে মনোযোগ দেয়া। আমরা আশা করি সেই প্রয়োজনের কেন্দ্রবিন্দুতে বিএনপি আপনাদের সঙ্গে সবসময় থাকবে।
