ঢাকা ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১ মাঘ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

মানুষের ওপর চাপ না বাড়িয়েও রাজস্ব বাড়ানো যেত

গোলাম রহমান
মানুষের ওপর চাপ না বাড়িয়েও রাজস্ব বাড়ানো যেত

সম্প্রতি নতুন করে শতাধিক পণ্যে বেড়েছে শুল্ক-কর। এতে চাপ বাড়বে দৈনন্দিন জীবনে খরচের। এ নিয়ে কথা বলেছেন সাবেক বাণিজ্য সচিব ও ভোক্তা অধিকার সংগঠন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সদ্য সাবেক সভাপতি গোলাম রহমান। তিনি বলেন, জনগণের ওপর ভ্যাটের চাপ না বাড়িয়ে রাজস্ব সংগ্রহ বাড়ানো যেত। এতে সরকারের যে বেশি রাজস্ব ও ভর্তুকির প্রয়োজন, সেটা মেটানো যেত। এভাবে ভ্যাট বাড়ালে মানুষের জীবনযাত্রা আরো কষ্টকর হবে।

‘মানুষ যে পরিমাণ ভ্যাট সরকারকে দিচ্ছে সেটা সংগ্রহ ঠিক মতো হয় না। সেটাতে জোর দেয়া উচিত ছিল। ধরুন, আমরা সবাই মিষ্টি কিনি, ভ্যাট দেই। কিন্তু সব মিষ্টির দোকান থেকে সরকার সেই ভ্যাট ঠিকমতো পায় কি না, সেটি কেউ দেখে না। আমার ধারণা, দেশের এমন ছোট ছোট ভ্যাট আদায়যোগ্য অধিকাংশ ব্যবসায়ী ভ্যাট ফাঁকি দিচ্ছে। এখন নতুন দেশে নতুন সরকার এ বিষয়টি সমাধান করতে পারতো। তাতে যেমন রাজস্ব ও ভর্তুকির সমস্যা সমাধান হতো, মানুষও স্বস্তি পেত।’

গোলাম রহমান বলেন, গত দেড় দশক ধরে ভ্যাট মেশিন বাধ্যতামূলক করা হলেও এখন পর্যন্ত মেশিন বসেনি। এনবিআর (জাতীয় রাজস্ব বোর্ড) একেক সময় একেক ধরনের সিদ্ধান্ত নেয়। আর যারা ভ্যাট ফাঁকি দেয় তাদের অনাগ্রহের কারণে ইলেকট্রনিক ক্যাশ রেজিস্ট্রার (ইসিআর) কিংবা ইলেকট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস (ইএফডি) বসানোর কর্মসূচি এখনো সাফল্যের মুখ দেখেনি। এসবে জোর দেয়া যেত।’

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত