ঢাকা ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ঘোষণাপত্র নিয়ে সব রাজনৈতিক দল ঐকমত্য

নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী
ঘোষণাপত্র নিয়ে সব রাজনৈতিক দল ঐকমত্য

ঘোষণাপত্র নিয়ে সব রাজনৈতিক দল ঐকমত্য বলে জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ডাকা সর্বদলীয় বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন। জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসিরউদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, আজকে আমরা বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দল এসেছি এবং কথা বলেছি। আমরা সবাই একটি ঐকমত্যে পৌঁছেছি যে একটি ঘোষণাপত্র হবে। সবাই মিলে সম্মত হয়েছি যে অতি দ্রুত পর্যাপ্ত পর্যালোচনাসহ এটি দ্রুত প্রকাশ করা হবে। এর মধ্যে কিছু দৃষ্টিভঙ্গিগত এবং শাব্দিক কিছু চয়নের বিষয়ে সবার মধ্যে কিছু আলোচনা প্রয়োজন।

সেটার জন্য সবাই সময় চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার কাছে। প্রধান উপদেষ্টা সময়ক্ষেপণ যেন না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে বলেছেন। যাতে কালবিলম্ব না হয় আবার খুব দ্রুত গতিতে না হয়। মাঝামাঝি একটা সময়ে যাতে আমরা ঐকমত্যে পৌঁছে সুন্দর একটি জিনিস তৈরি করতে পারি। এই বিষয়ে আমরা ঐকমত্যে পৌঁছেছি এবং দ্রুতই সবার সামনে আসবে। তিনি আরও বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও নাগরিক কমিটি আমরা সেই ৩১ ডিসেম্বর রাত থেকে ধৈর্য ধারণ করে যাচ্ছি এবং এখনো করছি। আমরা দেশের জনগণকে বলবো আপনারা আরও কিছু সময় ধৈর্য ধারণ করুন। বাংলাদেশে যদি গণতান্ত্রিক উপায়ে উত্তরণের পথে যেতে হয় এই ঐতিহাসিক দলিল ছাড়া এটি সম্ভব নয়। এজন্য বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী যে রাজনৈতিক দলগুলো আছে, গণতন্ত্রকামী মানুষ আছে, যারা গত ১৫ বছর গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছে, সেই মানুষগুলোর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা না করে সব মত, দল, পক্ষকে এই ঐতিহাসিক দলিলের মধ্যে দিয়ে গণতন্ত্রের পথে যাত্রার জন্য আমরা সবাইকে আহ্বান জানিয়েছি। তারা সম্মত হয়েছে, আশা করি ভবিষ্যতে আমাদের যাত্রা একসঙ্গে হবে, ভবিষ্যতের বাংলাদেশে। কোনো সময়সীমা দেয়া হয়েছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, সময়সীমা নিয়ে অনেকে বলেছেন। সুনির্দিষ্ট কোনো ডেডলাইন হয়নি। তবে সবাই সম্মত হয়েছে যে অনেক বেশি দেরি না আবার খুব তাড়াতাড়ি না। দ্রুত সময়ের মধ্যে সবার পর্যবেক্ষণ নিয়ে এটি প্রকাশ করা হবে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব আরিফ সোহেল বলেন, যদিও আমরা ১৫ জানুয়ারি মধ্যে ঘোষণাপত্র জারি করতে পারবেন বলে আশা করেছিলাম। সরকারকে সেভাবে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে দেখিনি। তারপরও তারা যে উদ্যোগ গ্রহণ করছে তার জন্য সাধুবাদ জানিয়েছি। গণঅভ্যুত্থানের অংশীজন মিলে আমরা ঐকমত্যে পৌঁছাতে পেরেছি। তিনি বলেন, গণঅভ্যুত্থানের অংশীজন ও সব গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলের ঐকমত্যের ভিত্তিতে জুলাই ঘোষণাপত্র জারি করা হবে, এটা এখন নিশ্চিত। পরবর্তী ধাপে আলোচনা করব জুলাই ঘোষণাপত্রে কী কী থাকবে। যা জুলাই গণঅভ্যুত্থানে রাজপথে নেমে আসা ছাত্র-জনতার আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন হবে। আমরা আশাবাদী, অবিলম্বে ঐকমত্যে পৌঁছে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের আশা-আকাঙ্ক্ষাকে জনগণের সামনে উপস্থাপন করতে পারব। আন্তর্জাতিকভাবে জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে স্বীকৃতি দিতে পারব। আরিফ সোহেল বলেন, বাংলাদেশ বৈপ্লবিক পরিবর্তনের যে ধারায় রয়েছে, নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তরে ফ্যাসিবাদী ধারার বিলোপ, গণতান্ত্রিক ধারা পথ উন্মোচিত হয়েছে, সেই ধারা আরো সুদৃঢ় করতে পারব। বাংলাদেশকে আরো সমৃদ্ধশালী রাষ্ট্র হিসেবে গড়তে জুলাই ঘোষণাপত্র ঐতিহাসিক গুরুত্ব পালন করবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত