ঢাবিতে তোফাজ্জল হত্যা
২১ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র
প্রকাশ : ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলে মানসিক ভারসাম্যহীন যুবক তোফাজ্জল হোসেনকে পিটিয়ে হত্যার মামলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ। এদের মধ্যে ছয় শিক্ষার্থী কারাগারে এবং ১৫ জন পলাতক রয়েছেন। গত ১ জানুয়ারি ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে এই অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহবাগ থানার পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান। গত বৃহস্পতিবার রাতে গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন তিনি। এর আগে গত ১৯ সেপ্টেম্বর শাহবাগ থানায় অজ্ঞাত দুষ্কৃতকারীদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দায়ের করা মামলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১ শিক্ষার্থীকে আসামি করা হয়।
কারাগারে থাকা ছয় আসামি হলেন- ফজলুল হক হল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক উপ-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক এবং পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী জালাল মিয়া, মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগের সুমন মিয়া, পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের মোত্তাকিন সাকিন ও ভূগোল বিভাগের আল হোসেন সাজ্জাদ, ফজলুল হক মুসলিম হলের আবাসিক শিক্ষার্থী আহসান উল্লাহ, ওয়াজিবুল আলম। তারা আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। অভিযোগপত্রে আসামিদের কোনো রাজনৈতিক পরিচয় উল্লেখ করা হয়নি। পলাতক ১৫ আসামি হলেন- ফজলুল হক মুসলিম হলের ফিরোজ কবির, আবদুস সামাদ, সাকিব রায়হান, ইয়াসিন আলী গাইন, ইয়ামুজ্জামান ইয়াম, ফজলে রাব্বি, শাহরিয়ার কবির শোভন, মেহেদী হাসান ইমরান, রাতুল হাসান, সুলতান মিয়া, নাসির উদ্দিন, মোবাশ্বের বিল্লাহ, শিশির আহমেদ, মহসিন উদ্দিন এবং আব্দুল্লাহিল কাফি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলের অতিথি কক্ষে গত ১৮ সেপ্টেম্বর রাতে নির্যাতনের শিকার হন তোফাজ্জল হোসেন। রাত ১২টার দিকে কয়েকজন শিক্ষার্থী ওই যুবককে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। অভিযোগপত্র থেকে জানা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলে তোফাজ্জল হোসেনকে নির্মমভাবে মারধর করার আগে, হামলাকারীরা চুরি যাওয়া মোবাইল ফোনের ক্ষতিপূরণ হিসেবে তার পরিবারের কাছ থেকে ৩৫ হাজার টাকা দাবি হয়। তাৎক্ষণিকভাবে তোফাজ্জলের চাচা আব্দুর রব মিয়া টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে অভিযুক্তরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এবং মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন ওই ব্যক্তিকে ক্রিকেটের স্টাম্প এবং বাঁশের লাঠি দিয়ে তার কাঁধ, পিঠ, পা এবং উরুতে বেধড়ক মারধর করে। গুরুতর আঘাত এবং রক্তক্ষরণের কারণে তোফাজ্জলের মৃত্যু হয়।