চোর দুই প্রকার বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম। তিনি বলেন, আমাদের দেশে যারা এমপি-মন্ত্রী রয়েছেন, এরা যে আমাদের জনগণের টাকা চুরি করে বিদেশে পাঠান এরা হচ্ছেন স্বভাবী চোর। অভাবী চোরের হাত কাটার নির্দেশ ইসলামে নেই। কিন্তু ইসলাম বলেছেন স্বভাবী চোরদের হাত কেটে দাও। আজ বাংলাদেশে যদি একটি স্বভাবী চোরের হাত কেটে দেন, দেখবেন যুগ যুগ ধরে আর চুরির প্রবণতা থাকবে না।
তিনি আরো বলেন, যে খেতে পারে না, মরণাপন্ন, নিরুপায় হয়ে চুরি করেছে তাকে অভাবী চোর বলে। আর স্বভাবী চোরের কোনো দিক থেকেই কোনো অসুবিধা নেই। কিন্তু তারপরও চুরি করে। আমাদের দেশে একজন বড় ধনী ছিল, সে কিন্তু বিদেশে গিয়ে এক জায়গায় চুরি করেছিল। এটা কিন্তু আমাদের অনেকের জানা আছে। গতকাল রোববার সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনের শহীদ শফিউর রহমান মিলনায়তনে ইসলামী আইনজীবী পরিষদ আয়োজিত ১৩তম কেন্দ্রীয় সম্মেলনে এসব কথা বলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম, সবক্ষেত্রে বাই দ্য আল্লাহ, ফর দ্য আল্লাহ, অব দ্য আল্লাহ যে নিজেকে মুসলমান দাবি করবে তাকে এটা মানতেই হবে। আর অন্যান্য যে স্বজাতিরা রয়েছেন তারাও সৃষ্টিকর্তাকে মানেন। অনেকাংশে বিভিন্ন কায়দায় সম্পৃক্ততার মাধ্যমে। অনেকে আমরা ইসলামী আইনের কথা শুনলে ভয় পাই। ইসলামে এমন এক নীতি আদর্শ আছে, যেখানে চুরি করলে হাত কেটে দেয়া হয়। ইসলাম কি সব চোরের হাত কাটার নির্দেশ দিয়েছে? এটা কিন্তু আমাদের জানা থাকা দরকার।
তিনি বলেন, আমরা পরিষ্কার বলছি ফ্যাসিস্ট বিদায় নিয়েছে। ৫৩ বছরের স্বাধীনতায় যারা আমাদের দেশটা পরিচালনা করেছিল তামাম দুনিয়ার মধ্যে একবার দুইবার নয়, পাঁচবার চোরের দিক থেকে দুর্নীতির দিক থেকে আমাদের ফার্স্ট বানিয়েছিল। এ চরিত্র আমাদের পরিবর্তন করতে হবে। ৫৩ বছর আমরা শান্তি তালাশ করেছি; কিন্তু শান্তির লেশও আমরা দেখিনি। আমরা যেহেতু মুসলমান, আমরা আল্লাহর প্রতি ইমান এনেছি আমরা পরকালকে বিশ্বাস করি। অন্যান্য ধর্মাবলম্বীরাও আল্লাহকে বিশ্বাস করে। সেই হিসেবে সৃষ্টি যার, আইন হবে তার। আমি আইনজীবীদের বলব, আপনারা যে লড়াই করবেন সেটা যেন ন্যায়ের পক্ষে থাকে।
সম্মেলন থেকে তিনি ইসলামী আইনজীবী পরিষদের ২০২৫-২৬ সালের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করেন। এবার সভাপতি হয়েছেন অ্যাডভোকেট মো. আতিয়ার রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন অ্যাডভোকেট মো. হানিফ মিয়া। সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন সুপ্রিমকোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ও বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, সুপ্রিমকোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ও বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সভাপতি অ্যাডভোকেট এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শেখ আতিয়ার রহমান, সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শওকত আলী হায়দার প্রমুখ।