মদ নয়, ইয়াবা নিয়ে চিন্তিত মাদকদ্রব্য অধিদপ্তর
প্রকাশ : ২১ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
মদ নিয়ে নয়, বর্তমানে ইয়াবা নিয়ে চিন্তিত মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। এমন মন্তব্য করেছেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (ডিএনসি) অতিরিক্ত মহাপরিচালক মুহাম্মদ ইউছুফ। তিনি বলেন, দেশে ইয়াবা নিয়ন্ত্রণে নেই। এভাবে চলতে থাকলে যুবসমাজ ধ্বংস হয়ে যাবে। গতকাল সোমবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) দেশ ও জাতির কল্যাণে ‘মাদকতার কুফল ও প্রতিকার’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। সেমিনারে আন্তর্জাতিক আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারতের আওলাদে রাসুল সায়্যিদ আফফান মানসুরপুরী।
মুহাম্মদ ইউছুফ বলেন, মদ নিয়ে আমি চিন্তিত না। বিশ্বব্যাপী যেমন এটা নিয়ন্ত্রণে আছে, একটা ইসলামিক দেশ হিসেবে আমাদের দেশেও এটা নিয়ন্ত্রণে আছে। মদ মুক্ত করতে পারবেন না। যতটুকু সম্ভব ততটুকু নিয়ন্ত্রণে আছে। শুধু মদ নয়, হিরোইন, কোকেন, আফিম ও গাঁজাও নিয়ন্ত্রণে আছে। তবে ইয়াবা কারো নিয়ন্ত্রণে নেই। ইয়াবার ভয়াবহতা উল্লেখ করে ডিএনসির অতিরিক্ত মহাপরিচালক বলেন, তিন-চার বছর টানা ইয়াবা সেবন করলে ওই ব্যক্তি মেন্টালি ডেড হয়ে যায়। একটা পর্যায়ে ইয়াবা সেবনকারী ব্যক্তি কথা বলতে পারে না, শুকিয়ে যায় এবং একটা সময়ে সে মারা যায়। ইয়াবা সেবনকারীকে পুনর্বাসনও করা যায় না। সীমান্ত দিয়ে ইয়াবার প্রবেশ রোধে বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সক্রিয় রয়েছে বলেও জানান তিনি। তিনি বলেন, বাংলাদেশে ইয়াবার কোনো কারখানা নেই। সব কারখানা মিয়ানমারে। যদি আমাদের দেশে ইয়াবার চাহিদা শূন্যে নেমে আসে তাহলে অন্য দেশ থেকে আমাদের দেশে ইয়াবা আর আসবে না। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কারা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক কর্নেল মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল বলেন, সারা দেশে কারাগারের শতকরা ২৫ ভাগ আসামি মাদক সংক্রান্ত। যার সংখ্যা ১৫ থেকে ২০ হাজারের কম নয়। সমাজে যে সমস্ত অপরাধ চলছে তার বড় একটি অংশ মাদক সংশ্লিষ্ট। কারাগারে যেসব আসামি রয়েছে তার মধ্যে ৯০ শতাংশ স্বল্প মেয়াদি শাস্তি পেয়ে কারাগারে আসে। অর্থাৎ, তাদের যে শাস্তি হয় তা এক থেকে ছয় মাস বা এক বছর মেয়াদি হয়ে থাকে। এই ধরনের আসামিরা প্রায়ই কারাগারে আসেন। তাদের একটা অভ্যাস হয়ে গেছে। সরকার চেষ্টা করছে সমাজে এ ধরনের অনাচারের সঙ্গে যারা জড়িত তাদেরকে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে কারাগারে দেয়ার। কারা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক আরো বলেন, মাদকের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আসামিদের সংশোধনের চেষ্টা করা হচ্ছে।