মাঠ পর্যায় থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর এজেন্টদের প্রশিক্ষণের চাহিদা পেয়েছে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি)। তার আলোকেই রাজনৈতিক দলগুলোকে প্রশিক্ষণ না দিয়ে এজেন্টদের প্রশিক্ষণ দিলে ভালো রেজাল্ট পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ। গতকাল রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করে ইউএনডিপির প্রতিনিধিদল। বৈঠক শেষে ইসি সচিব এ তথ্য জানান। সচিব আখতার আহমেদ বলেন, দলগুলোর সঙ্গে প্রশিক্ষণ নয়। তবে ভোটকেন্দ্রে যিনি দলের আছে তার সঙ্গে যদি আমরা একসঙ্গে কাজ করতে পারি তবে বেটার রেজাল্ট পাবো। ওনারা (ইউএনডিপি) মাঠ থেকে এমন চাহিদা পেয়েছেন। তবে প্রশিক্ষণ কোথায় হবে, কারা দেবে এই প্রশ্নগুলো সামনে এসেছে। বিস্তারিত পরে জানা যাবে। আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে কলেবরটা বাড়াতে হবে। এছাড়া ওরা (ইউএনডিপির প্রতিনিধিদল) নিউইয়র্কে যাচ্ছে। সেখানেই তারা রিপোর্টটা দেবে। সেখান থেকে অনুমোদনের পর দুই সপ্তাহের মধ্যে তারা আবারো আসবে বলে জানান তিনি।
সচিব বলেন, নির্বাচনের জন্য আগাম হিসাবটা খুব জরুরি। জানুয়ারির ১ তারিখে নির্বাচন করতে হলে ডিসেম্বর থেকেই প্রস্তুতি নিতে হয়। এই ব্যাকওয়ার্ড ক্যালকুলেশনে যতগুলো জিনিস আছে আমরা সবগুলো নিয়ে কাজ করছি। তারা বলেছে, তোমরা যা করার করছো, গ্যাপ যা থাকে আমরা পূরণের চেষ্টা করবো।
তিনি আরো বলেন, তারা ১০ দিন পর এসে আজকে একটা ফিডব্যাক দিয়েছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজের সঙ্গে কথা বলেছেন। সরেজমিন দেখেছেন। এর ভিত্তিতে তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আমাদের কিছু সহযোগিতা করবেন। কিছু লজিস্টিকস যেটা ক্যামেরা, কম্পিউটার, হার্ডওয়্যার টাইপের; আরেকটা জিনিস হচ্ছে দক্ষতা উন্নয়নে প্রশিক্ষণ দেবেন। এই প্রশিক্ষণ অংশীজনদের নিয়ে। আমরা যেমন বলেছিলাম নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে জড়িতদের দক্ষতা বৃদ্ধির প্রয়োজন আছে, তেমনি প্রাসঙ্গিকভাবে যারা জড়িত তাদেরও প্রয়োজন আছে। যেমন সিভিল সোসাইটির, যারা ভোটের সময় নির্বাচনি এজেন্ট হিসেবে কাজ করেন, এদের জন্য প্রশিক্ষণ কেমন করে কতটুকু দেয়া যেতে পারে। উপকরণ কী হবে এগুলোর সঙ্গে তারা আছে। নারী অংশগ্রহণের বিষয়ে তারা বলেছেন। আমরা বলেছি যে, এজন্য ঘরে ঘরে গিয়ে ভোটার করছি।