নাগরিক ঐক্যর সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে সংখ্যানুতিক পদ্ধতির ভোটকে সমর্থন করি না। পতিত স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ হয়তো স্বাভাবিকভাবে ২৫ শতাংশ ভোট পেয়ে যেতে পারে। তাহলে দেখা যাবে ৭৫টি আসন পাবে, এটা আমি চাই না। যে আইনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ এতো মানুষকে হত্যা করেছে, পুরো দেশকে শেষ করে দিয়েছে। তারা পুনর্বাসন হবে এমন আইন করা যাবে না। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘সংস্কার থেকে নির্বাচন কতদূর’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ সব কথা বলেন। মাহামুদুর রহমান মান্না বলেন, সংস্কার এখনও শুরু হয়নি। মূলত সংস্কার বলে পায়তারা করা হচ্ছে। ১৫টি সংস্কার কমিশনের মধ্যে ছয়টা কমিশন তাদের ফাইনাল রিপোর্ট দিয়েছে। এই নিয়ে চলতি মাসে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করতে চাইছেন।
প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেছেন, সব রাজনৈতিক দলের ঐকমত্য ও জনগণের সম্মতিতে সংস্কার করা হবে। তারা যদি সম্মতি না দেয় তাহলে সংস্কার হবে না। কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলো ও অংশীজনরা এখন পর্যন্ত কয়টি সংস্কারের ব্যাপারে একমত হয়েছে? দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনাও হয়নি। জনগণও ঠিকমত বোঝে না। দেশের মানুষ সংবিধান বুঝতে পারে, এমনভাবে সংবিধান রচনা করতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, পরপর দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না। বাংলাদেশকে চার প্রদেশে ভাগ করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে কিন্তু কতজন একমত হয়েছেন? উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদি সংস্কার প্রস্তাব প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, আইন সংস্কারের জন্য স্বল্প মেয়াদি কোনো প্রস্তাব নেই। রাজনৈতিক দলগুলো তাদের প্রস্তাব লিখিতভাবে দিয়েছে। এখানে আলোচনার দরকার কী। কয়টা প্রস্তাব মিলে তা বাছাই করলেই তো হয়ে যায়। আমি মনে করি, ১৫ দিনের মধ্যে জাতীয় ঐকমত্যে সম্ভব।
ডাকসুর সাবেক এই ভিপি বলেন, আমরা ভালো সরকার, ভালো শাসক চাই। এ জন্য দরকার ভালো রাজনৈতিক দল। সবার আগে রাজনৈতিক দলের সংস্কার প্রয়োজন। কিন্তু ভালো নির্বাচনের জন্য সবার আগে পুলিশ সংস্কার দরকার। অফিস আদালতে এখনও ঘুষ-দুর্নীতি এখনও চলছে। বর্তমান থেকে নতুন বাংলাদেশ কতদূর? বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নাহিদুল ইসলাম সাহেলের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, বিজয় কান্তি সরকার প্রমুখ।