হত্যা মামলার আসামি হয়েও এসপি অফিসে সেলফি কাণ্ডে ভাইরাল হওয়া যুবদল নেতা আহসান উল্লাহ এবার হারালেন দলীয় পদ। প্রাথমিক সদস্য পদসহ দলের সব পদ থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। যুবদলে কেন্দ্রীয় সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম নয়ন তাকে বহিস্কার করেন। গতকাল রোববার সকালে যুবদলের সহ-দপ্তর সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভূঁইয়া সাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা যুবদল যুগ্ম আহ্বায়ক আহসান নাঙ্গলকোট উপজেলার হেসাখাল ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সেলিম হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। ৬ ফেব্রুয়ারি সকালে কুমিল্লা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নাজির আহাম্মাদ খানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে যান কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির নবনির্বাচিত সদস্যসচিব আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াসিমসহ কিছু নেতাকর্মী। তাদের সঙ্গে ছিলেন আহসান উল্লাহও। সেখানে সেলফি তুলে ফেসবুকে পোস্ট দিলে তা ভাইরাল হয়ে যায়।
গত শুক্রবার রাতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গত ১ ফেব্রুয়ারি দুপুরে উপজেলার বাঙ্গড্ডা বাদশাহ মিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজ মাঠে বাঙ্গড্ডা ইউনিয়ন যুবদলের আয়োজনে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মোবাশ্বের আলম ভূঁইয়ার জনসভা হয়। এ সময় ওই এলাকায় মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা নিয়ে বাঙ্গড্ডা বাজারে যাওয়ার সময় সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল গফুর ভূঁইয়া গ্রুপে সঙ্গে বাঙ্গড্ডা পশ্চিম বাজারে উভয় গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। এতে গুরুতর আহত সেলিম ভূঁইয়াকে স্থানীয়রা নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। পরদিন সেলিম ভূঁইয়ার বড় ভাই আব্দুর রহিম বাদী হয়ে নাঙ্গলকোট থানায় হত্যা মামলা দায়ে করেন।