ঢাকা মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

আলোচনা সভায় বক্তারা

রাজনৈতিক সংকট নিরসনে সব দলকে ঐকমত্যে পৌঁছাতে হবে

রাজনৈতিক সংকট নিরসনে সব দলকে ঐকমত্যে পৌঁছাতে হবে

দেশের চলমান পরিস্থিতি ও আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য সব রাজনৈতিক দলকে ঐকমত্যে পৌঁছাতে হবে। গণতন্ত্রের পথে যাওয়ার প্রথম ধাপ নির্বাচন। ২০২৪ সালে রাজনৈতিক দলগুলো ঐক্যের বিনিময়ে গণঅভ্যুত্থানের মধ্যদিয়ে স্বৈরাচার শেখ হাসিনাকে বিতাড়িত করা সম্ভব হয়েছে। গণঅভ্যুত্থান অনেক বিপ্লবী সৃষ্টি করেছে। এখন রাজনৈতিক ঐক্য করতে কোনো ফ্যাসিবাদ বাধা দিলে তাদেরও প্রতিহত করতে হবে- এমনই হুঁশিয়ারি দেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি হোটেলে ‘সংকট থেকে মুক্তি পেতে রাজনৈতিক ঐকমত্যের বিকল্প নেই’ শীর্ষক চা-চক্রে বক্তারা এসব কথা বলেন। নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না এই চা-চক্রের আয়োজন করেন। এসময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

বক্তারা বলেন, বিগত ১৬ বছরের আন্দোলন সংগ্রাম ও জুলাই-আগস্টের ৩৬ দিনের আন্দোলনের মধ্যে বড় একটা সম্পর্ক রয়েছে। সবাই ফ্যাসিস্ট ও স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও ছাত্র-জনতার এক লক্ষ্য থাকার কারণে শেখ হাসিনার পতন নিশ্চিত করা গেছে। এখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে দ্রুত সময়ে নির্বাচনের দিকে যেতে হবে। অন্যথায় বিপ্লব বেহাত হতে পারে। কারণ, নির্বাচনকেন্দ্রীক সংস্কারের পাশাপাশি দ্রুত সময়ে নির্বাচন দিতে বিলম্ব করলে ফ্যাসিস্ট ও তার দোসরা নানা ষড়যন্ত্র অব্যাহত রাখবে। বর্তমানে দেশে একটা সংকট রয়েছে, এজন্য রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্য করতে হবে। দ্রুততম সময়ে জাতীয় নির্বাচনের জন্য সবাইকে একটা ‘সমঝোতা পরিষদ’ গড়ার কথাও বলেন তারা। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গত ৬ মাসে কী কী কাজ করছেন তার একটা স্বেতপত্র প্রকাশেরও দাবি জানান বক্তারা।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত