বাংলাদেশ সচিবালয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন পরিবেশ অধিদফতর ও জাতিসংঘের প্রকল্প সেবা সংস্থার মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই অংশীদারিত্বের লক্ষ্য পরিবেশ সুশাসন জোরদার করা, টেকসই উন্নয়নকে উৎসাহিত করা এবং জলবায়ু সহনশীলতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করা। গতকাল বুধবার সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়েছে।
এই চুক্তির আওতায়, দূষণ নিয়ন্ত্রণ, জলবায়ু পরিবর্তনের মোকাবিলা ও অভিযোজন এবং নীতি ও প্রকল্প বাস্তবায়নে উভয় পক্ষ একসঙ্গে কাজ করবে। প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধি, আইন প্রয়োগ শক্তিশালীকরণ এবং নগর ও গ্রামীণ অঞ্চলে জলবায়ু সহনশীলতা উন্নয়নের ওপর গুরুত্ব দেয়া হবে। এছাড়া, পরিবেশ সংরক্ষণ, দূষণ নিয়ন্ত্রণ ও বাস্তুতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য আন্তর্জাতিক ও জাতীয় মানসম্মত নির্দেশিকা ও কৌশল প্রণয়ন করা হবে। এই অংশীদারিত্বের মাধ্যমে পরিবেশ সংরক্ষণে নতুন প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনী সমাধান অনুসন্ধান করা হবে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি, টেকসই কৃষি ও জলবায়ু-স্মার্ট পদ্ধতি বাস্তবায়নে সহযোগিতা করা হবে। জ্ঞান বিনিময় ও সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সেরা অভ্যাস গ্রহণ ও প্রতিষ্ঠানগত নেটওয়ার্ক জোরদার করা হবে। উভয় পক্ষ পারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতে নতুন নতুন সহযোগিতার ক্ষেত্রও অন্বেষণ করতে পারে।
সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. কামরুজ্জামান, এনডিসি এবং ইউএনওপিএস’র এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক সঞ্জয় মাথুর।
স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব ড. ফাহমিদা খানম, জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব ও ইউএনওপিএস’র উপ-নির্বাহী পরিচালক ক্রিস্টিন দামকিয়ার এবং ইউএনওপিএস’র কান্ট্রি ডিরেক্টর সুধীর মুরলীধরন উপস্থিত ছিলেন। এই সমঝোতা স্মারক বাংলাদেশে পরিবেশ সুশাসন শক্তিশালী করার পাশাপাশি টেকসই উন্নয়ন ও জলবায়ু সহনশীলতা বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।