ঢাকা সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১৫ বৈশাখ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

আ.লীগকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতেই পিলখানা হত্যাকাণ্ড

বললেন অ্যাটর্নি জেনারেল
আ.লীগকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতেই পিলখানা হত্যাকাণ্ড

২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পিলখানায় তৎকালীন বিডিআর সদর দপ্তরে নির্মম ও নৃশংস হত্যাকাণ্ড আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখার কৌশল ছিল বলে মন্তব্য করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মো. আসাদুজ্জামান। গতকাল শনিবার সকালে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনে (এফডিসি) বিডিআর হত্যাকাণ্ড নিয়ে ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় এমন মন্তব্য করেন তিনি। অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখার জন্য আন্তর্জাতিক একটি কৌশল ছিল পিলখানা হত্যাকাণ্ড। এর মাধ্যমেই সংবিধানসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করা হয়েছে। কারণ পিলখানা হত্যাকাণ্ডের জন্য সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী সম্ভব হয়েছিল। ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদরদপ্তরে বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আলোড়ন তোলে ওই ঘটনা। সেই বিদ্রোহের পর সীমান্তরক্ষা বাহিনী বিডিআরের নাম বদলে যায়, পরিবর্তন আসে পোশাকেও। এ বাহিনীর নাম এখন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বা বিজিবি। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিচারের জন্য কমিশন গঠন করেছে। সঠিক তদন্তের পরিপ্রেক্ষিতে বিচার প্রক্রিয়া চালানোর কাজও শুরু হয়েছে বলেও জানান অ্যাটর্নি জেনারেল আসাদুজ্জামান। সাবেক সেনা প্রধান মঈন ইউ আহমেদও বিডিআর হত্যাকাণ্ডের দায় এড়াতে পারেন না বলে মন্তব্য করে রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা। তিনি বলেন, ‘দেশের সার্বভৌমত্ব নষ্ট করা এবং নৈরাজ্যকে দীর্ঘমেয়াদি করার জন্য ৫৭ সেনাসদস্যকে হত্যা করা হয়েছিল।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত