হিযবুত তাহরীরের ৯ জন রিমান্ডে, কারাগারে ১৩

প্রকাশ : ১৪ মার্চ ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর বায়তুল মোকাররমে মার্চ ফর খেলাফত কর্মসূচি ঘিরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৯ হিযবুত তাহরীর কর্মীর বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তার ১০ দিনের রিমান্ড আবেদনের ওপর শুনানি শেষে এ আদেশ দেন ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসেন। এদিন ছয় দিনের রিমান্ড শেষে ১৭ আসামিকে আদালতে উপস্থিত করা হয়। এর মধ্যে চার আসামির পুনরায় পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। অন্যদিকে রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা? উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেকের জামিন নামঞ্জুর করে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডে যাওয়া এ চার আসামি হলেন, মো. আবু শোহাইব, সাব্বির হোসাইন জিউন, মো. হেলাল উদ্দিন ও মো. আল রাফি সাজ্জাদ।

অন্যদিকে ছয় দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে উপস্থিত করা বাকি ১৩ আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। তারা হলেন, মো. আব্দুল্লাহ, তরিকুল ইসলাম, আহমেদ নাফিস মোর্শেদ, মো. শাহাদাত হোসেন, তানভির মাহতাব রাফাত, আশফাক আহম্মেদ, মো. রিফাত ইসলাম রিশাদ, রেদোয়ান বিন শহিদুল, মিয়াজী আবদুল্লাহ আল মুত্তাকি, হাবিবুর রহমান, আসাদুজ্জামান নূর, তানিম সিকদার সিহাব ও আহমেদ নাসিফ করিম কাব্য। এদিকে গত ৯ মার্চ একই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে যাওয়া পাঁচ আসামিকে আজ আদালতে উপস্থিত করা হয়? এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পল্টন থানার এসআই সাইফুল ইসলাম প্রত্যেকের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। অন্যদিকে আসামিদের রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন তাদের আইনজীবীরা। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসেন প্রত্যেকের জামিন নামঞ্জুর করে একদিনের রিমান্ডে নেয়ার আদেশ দেন। রিমান্ডে যাওয়া এসব আসামিরা হলেন, ঢাকার সূত্রাপুর থানার মোহন দাস রোডের হাসিবুর রহমানের ছেলে মাসরাফি রহমান মাহি, একই থানার কলতাবাজারের মিজানুর রহমানের ছেলে ইরফান শাহরিয়ার, ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জ উপজেলার তেলঘাটের মো. দেলোয়ার হোসেনের ছেলে মো. সাইফুল ইসলাম, ঢাকার কোতোয়ালি থানার পাটুয়াটুলী লেনের সিরাজুল ইসলামের ছেলে আনাসুর রহমান ও লক্ষ্মীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানার ছোট ভল্লভপুরের মৃত নুরুল আমিনের ছেলে সোহেল রানা। এর আগে গত ৯ মার্চ এ পাঁচ আসামিকে আদালতে উপস্থিত করে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।