গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, আমরা সংস্কারও চাই, নির্বাচনও চাই। নির্বাচনের জন্য যেমন সংস্কার দরকার তেমনি সংস্কারের জন্যও নির্বাচন দরকার। কারণ জনগণের সম্মতি ছাড়া সংস্কার সম্ভব হবে না। কাজেই সংস্কার এবং নির্বাচনকে একসঙ্গে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। ঈদের পর দেশের জনগণ নির্বাচনের সুস্পষ্ট রোডম্যাপ জানতে চায়। সেই রোডম্যাপ রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আনতে কাজ করবে। গতকাল সন্ধ্যায় ময়মনসিংহ নগরীর সি.কে ঘোষ রোডস্থ একটি রেস্টুরেন্টে জেলা গণসংহতি আন্দোলন আয়োজিত ইফতার ও দোয়া মাহফিল পূর্ব এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ‘ন্যূনতম জাতীয় ঐক্যের মধ্য দিয়েই সংস্কার প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে সংবিধান সংস্কার পরিষদের নির্বাচনই পারে বাংলাদেশকে গণতন্ত্রের গতিমুখে ফেরাতে’ শীর্ষক এই আলোচনা সভায় জোনায়েদ সাকি বলেন, একটি গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী রাজনৈতিক পরিবেশে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত যা হচ্ছে তা সবর সম্মুখেই হচ্ছে।
জুলাই-আগস্টসহ গত ১৫ বছরে যত গুম, খুন ও নির্বিচারে হত্যাকাণ্ড হয়েছে, সেটার জন্য আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও শেখ হাসিনাসহ যারা দায়ী তাদের সকলকে বিচারের আওতায় আনতে হবে। শুধু তাদেরই নয়, দল হিসেবে এই হত্যাকাণ্ডের জন্য আওয়ামী লীগকেও বিচারের আওতায় আনতে হবে। তার জন্য আইন প্রণয়ন করতে হবে। এর ওপর নির্ভর করবে তাদের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ কী।
তিনি আরও বলেন, আমরা দেখছি সেনাবাহিনীকে মুখোমুখি দাঁড় করানো হচ্ছে। এই অস্থিরতার উদ্দেশ্যে কী? আমরা প্রত্যেক পক্ষকে আহ্বান জানাই যে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া চলছে সেটি যেন গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় এগিয়ে যায়। এমন কোনো ভূমিকা নেওয়া ঠিক হবে না যাতে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হয়। কেউ কারও ওপর কিছু চাপিয়ে দেওয়ার সুযোগ নেই। আমরা ফ্যাসিস্ট ব্যবস্থার বদলে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চাই। এটা জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে করতে হবে। না হলে ঘরের ভেতরের শত্রুরা সুযোগ পাবে। দেশের অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা মানে ষড়যন্ত্রের চেষ্টা উল্লেখ করে জোনায়েদ সাকি বলেন, সবাইকে ঐক্য বজায় রাখতে হবে।