ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। স্বাধীনতা আমাদের প্রেরণার উৎস, গৌরবের স্মারক। গতকাল বুধবার ঢাকায় বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ চত্বরে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের আয়োজনে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে খতমে কোরআন, আলোচনা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ১৯৭১ সালে সশস্ত্র যুদ্ধের মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশ নামক এই ভূখণ্ড পেয়েছি। একটি স্বাধীন পতাকা, ভূ-খণ্ড ও রাষ্ট্র গঠন করতে পেরেছি। স্বাধীনতার পর অর্ধশতাব্দী পার হয়েছে। আমরা হাঁটি-হাঁটি পা-পা করে এ দেশকে অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিচ্ছি।
ধর্ম উপদেষ্টা আরও বলেন, আমাদের কিছু ভুলভ্রান্তি আছে, কিছু ত্রুটিবিচ্যুতি আছে। তারপরও আমরা এই দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। আমাদের সঙ্গে একইসময়ে বহুদিন স্বাধীন হয়েছে, তারা বহুদূর এগিয়ে গেছে। আমরা সেই মাত্রায় ও আঙিকে এগোতে পারিনি। এতে হীনমন্যতায় ভোগার কোনও কারণ নেই। আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করলে আমরা অবশ্যই এগিয়ে যেতে পারব। আমরা মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারব। তিনি সবাইকে দেশের কল্যাণে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। ড. খালিদ বলেন, আমাদের সমাজ ও রাষ্ট্র ব্যবস্থায় যারা দেশের সম্পদ লুট, নষ্ট ও পাচার করেছে তাদের প্রত্যাখ্যান করতে হবে। তিনি দেশকে উন্নত করতে আগামীদিনে সৎ ও ভালো মানুষকে জনপ্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত করার আহ্বান জানান। বাংলাদেশকে অপরূপ সুন্দর হিসেবে অভিহিত করে ড. খালিদ আরও বলেন, আমাদের দেশের মতো সুন্দর দেশ, রৌদ্রোজ্জ্বল আবহাওয়া, সূর্যের তাপ পৃথিবীর বহু দেশে নেই।
পৃথিবীর কোনো কোনো দেশে প্রচণ্ড শীত, কোথাও প্রচণ্ড গরম, আবার কোথাও প্রতিনিয়ত বৃষ্টি হচ্ছে। কিন্তু আমাদের দেশের আবহাওয়া বৈচিত্র্যময়। গ্রীষ্ম, বর্ষা, শরৎ, হেমন্ত, শীত ও বসন্ত মিলে এদেশটি অপরূপ। ড. খালিদ আরো বলেন, এদেশের মাটিও অত্যন্ত উর্বর। একটি গাছ রোপণের অল্প পরিচর্যা করলেই ফল পাওয়া যায়, ফুল ফুটে। তিনি দেশের উন্নয়নে উৎপাদন বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন। এছাড়া, উপদেষ্টা স্বাধীনতা যুদ্ধে শহিদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং যুদ্ধাহতদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। এর আগে সকাল থেকে বিভিন্ন মাদ্রাসার শতাধিক শিক্ষার্থী খতমে কোরআন কর্মসূচিতে অংশ নেন।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক আ. ছালাম খানের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন ইফার দ্বীনি দাওয়াত ও সংস্কৃতি বিভাগের পরিচালক ড. হারুনূর রশীদ। পরে দেশ ও জাতির উন্নয়ন, অগ্রগতি সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত ও দোয়া করা হয়। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে এ ফাউন্ডেশনে অর্থ ও হিসাব বিভাগের পরিচালক আব্দুল হামিদ খান, সমন্বয় বিভাগের পরিচালক মো. মহিউদ্দিন, পরিকল্পনা বিভাগের পরিচালক মো. বজলুর রশিদ, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম মুহাম্মদ মুহিবুল্লাহিল বাকী উপস্থিত ছিলেন।