ময়মনসিংহ নগরীর মাসকান্দা বাসস্ট্যান্ড থেকে ঢাকায় ছেড়ে যাওয়া বাসগুলো থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। ৮০-৩০০ টাকা পর্যন্ত বেশি ভাড়া নেয়ার অভিযোগে করেছেন যাত্রীরা। এ ঘটনায় বাসস্ট্যান্ডে অভিযান চালিয়েছে সেনাবাহিনী। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় ইউনাইটেড বাস কাউন্টারের ম্যানেজার ফারুক হোসেন জানান, ময়মনসিংহ থেকে ঢাকায় ইউনাইটেড বাসের ভাড়া ৩২০ টাকা। আজ যাত্রীর চাপ কয়েকগুণ বেড়ে যায়। লম্বা লাইন ধরেও ইউনাইটেড বাসের টিকিট পাওয়া যাচ্ছিল না। এ সুযোগে দুপুরে সৌখিনের কয়েকজন চালক ৪০০ টাকা নেয়ার চেষ্টা করছিলেন। এ সময় কেউ একজন ঘটনাটি সেনাবাহিনীকে জানিয়ে দেন। এর কিছুক্ষণের মধ্যে সেনাবাহিনী চলে এলে বাসের চালকরা যাত্রী রেখেই দৌড়ে পালিয়ে যান। এলোপাতাড়ি দৌড় দেন কর্মচারীরাও। কিছুক্ষণের মধ্যেই সেনাবাহিনী চলে গেলে বাস আবারও ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। তিনি বলেন, সেনাবাহিনী চলে যাওয়ার পর পরিবহন মালিক নেতাসহ ছাত্র প্রতিনিধি এসে বাড়তি ভাড়া আদায় করতে সম্পূর্ণ নিষেধ করেছেন। সে অনুযায়ী নির্ধারিত ভাড়াতেই গাড়ি চলাচল করছে। এদিকে দিনব্যাপী ময়মনসিংহের সড়কগুলোতে বিভিন্ন যানবাহনের চালকদের বিরুদ্ধে বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ তুলেছেন যাত্রীরা। ময়মনসিংহ নগরীর পাটগুদাম ব্রিজ মোড়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন জিল্লুর রহমান। তিনি বলেন, ‘অন্যান্য দিন পাটগুদাম বাসটার্মিনাল থেকে লোকাল বাসগুলোর চালকরা ঢাকায় যেতে ১৫০-২০০ টাকা নিলেও আজ সর্বোচ্চ ৪৫০ টাকা আদায় করা হয়েছে। ঈদের ছুটি শেষে ঢাকা ফেরা যাত্রীর সংখ্যা বাড়ার সুযোগকে কাজে লাগাচ্ছেন চালকরা। তারা ইচ্ছামতো ভাড়া আদায় করছেন।’ শরিফুল ইসলাম নামের আরেকজন বলেন, ‘আমি ঢাকায় একটি গার্মেন্টসে চাকরি করি। কম টাকায় লোকাল বাসে চলাচল করি। এখন বাসচালকরা ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছেন। প্রশাসনের অভিযান চালানো প্রয়োজন।’ ময়মনসিংহ নগরীর মাসকান্দা বাসস্ট্যান্ড থেকে ঢাকায় ছেড়ে যাওয়া বাসগুলো থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ উঠেছে ময়মনসিংহ জেলা মোটরযান কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব আলী বলেন, ‘বাড়তি ভাড়া আদায় না করতে চালকদের কঠোরভাবে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এরপরও হয়তো আমাদের অজান্তে কিছু চালক ভাড়তি ভাড়া আদায় করতে চেষ্টা করছেন। আমরা এ সব চালকদের শনাক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো।