ঢাকা শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫, ২৮ চৈত্র ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

চট্টগ্রামে জোড়া খুনসহ দুই মামলায় ছোট সাজ্জাদ ৯ দিনের রিমান্ডে

চট্টগ্রামে জোড়া খুনসহ দুই মামলায় ছোট সাজ্জাদ ৯ দিনের রিমান্ডে

চট্টগ্রামে প্রাইভেট কারকে ধাওয়ার পর গুলি করে জোড়া খুনের ঘটনায় করা হত্যা মামলায় সাজ্জাদ হোসেন ওরফে ছোট সাজ্জাদকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল রোববার শুনানি শেষে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত মহানগর হাকিম সরকার হাসান শাহরিয়ার এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে ছোট সাজ্জাদ ও অপর দুই আসামির চার দিন করে রিমান্ডও মঞ্জুর করেছে আদালত। ওই জোড়া খুনের মামলায় গ্রেপ্তার অন্য দুই আসামি হলেন- মো. বেলাল ও মো. মানিক। চট্টগ্রাম মহানগর আদালতের সহকারী সরকারি কৌঁসুলি মো. রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী বলেন, ‘বাকলিয়া থানার জোড়া খুনের মামলায় ছোট সাজ্জাদকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদনের ওপর শুনানি শেষে আদালত তা মঞ্জুর করেন। সাজ্জাদ এবং অন্য দুই আসামি বেলাল ও মানিককে সাত দিন করে রিমান্ডের আবেদন করা হলে শুনানি শেষে তাদের প্রত্যেকের চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালাত। এর আগে ঢাকা থেকে আটকের পর ছোট সাজ্জাদকে চান্দগাঁও থানার একটি খুনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছিল। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী বলেন, চান্দগাঁও থানার মামলায় ছোট সাজ্জাদের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে চট্টগ্রামের ষষ্ঠ মহানগর হাকিম আদালতে আবেদন করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার শুনানি শেষে বিচারক এসএম আলাউদ্দিন তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।

গত ৩০ মার্চ ভোর রাতে নগরীর চকবাজার চন্দনপুরা এলাকায় ধাওয়া করে প্রাইভেট কারে গুলি করে দুইজনকে হত্যা করা হয়। আহত হন আরও দুইজন। নিহতরা হলেন- বখতেয়ার হোসেন মানিক ও মো. আব্দুল্লাহ। তাদের বয়স ৩০ থেকে ৩৬ এর মধ্যে। আহতরা হলেন- রবিন ও হৃদয়। হত্যাকাণ্ডের তিন দিন পর ১ এপ্রিল সাতজনের নামে নগরীর বাকলিয়া থানায় মামলা করেন নিহত বখতেয়ার উদ্দিন মানিকের মা ফিরোজা বেগম। তাতে তিনি অভিযোগ করেন, কারাগারে থাকা ’শীর্ষ সন্ত্রাসী’ ছোট সাজ্জাদ ও তার স্ত্রীর ‘পরিকল্পনায়’ চট্টগ্রামে প্রাইভেট কারকে ধাওয়ার পর গুলি করে দুইজনকে খুনের ঘটনা ঘটেছে। মামলায় ছোট সাজ্জাদ ও তার স্ত্রী শারমিন আক্তার তামান্নার সঙ্গে মো. হাসান, মোবারক হোসেন ইমন, রায়হান ও বোরহানসহ সাতজনকে আসামি করা হয়েছে। ঘটনার পর চকবাজার থানার ওসি জাহিদুল কবির বলেছিলেন, বাকলিয়া রাজাখালী ব্রিজ থেকে প্রাইভেট কারটিকে ধাওয়া করা হয়। পরে চন্দনপুরা-বাকলিয়া এক্সেস রোডের মুখে সেটিতে গুলি চালিয়ে দুইজনকে খুন করা হয়। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মো. রবিন গতকাল রোববার বলেন, প্রাইভেট কারের চালকসহ মোট ছয়জন ছিলেন। নিহত মানিক গাড়ি চালাচ্ছিলেন, তার পাশে বসা ছিলেন সরোয়ার হোসেন বাবলা। শাহ আমানত ব্রিজ সংলগ্ন বালুমহাল থেকে বের হওয়ার কিছু সময় পর কয়েকটা মোটরসাইকেলে কয়েকজন এসে গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালাতে থাকে। বহদ্দারহাটের দিকে যাওয়ার কথা থাকলেও ‘জীবন বাঁচাতে’ আমাদের গাড়ি বাকলিয়া এক্সেস রোডের দিকে চলে যায়। গাড়িতেই গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন আব্দুল্লাহ। গতকাল বৃহস্পতিবার টানা অভিযান চালিয়ে নগরীর চান্দগাঁও খাজা রোড ও ফটিকছড়ির কাঞ্চননগর থেকে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা হলেন- মো. বেলাল (২৭) ও মো. মানিক (২৪)। তাদের মধ্যে বেলাল সরাসরি হত্যাকাণ্ডে অংশ নিয়েছিলেন এবং মানিক মোটরসাইকেল সরবরাহ করেছিলেন বলে পুলিশের দাবি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত