ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর সীমান্তে বিএসএফের বিরুদ্ধে মুরাদুর রহমান মুন্না নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ করেছে নিহতের স্বজনরা। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের সেজামুড়া সীমান্তে জিরো পয়েন্টে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মুন্না ওই গ্রামের মৃত ফজলুর রহমানের ছেলে। নিহতের পরিবার অভিযোগ করে বলেন, বিকালের দিকে মুন্না তার ধানি জমি দেখতে সেজামুড়া সীমান্তের কাছে যান। এসময় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কয়েকজন তাকে ধরে নিয়ে যায়। পরে তারা তাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে বাংলাদেশ সীমান্তে ফেলে রেখে চলে যায়। বিজিবি সদস্যরা তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে পরিবারের কাছে পৌঁছে দেয়। এসময় তাকে গুরুতর অবস্থায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তারা এ ঘটনায় সরকারের কাছে বিচার দাবি করেছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. আরাফাত বলেন, হাসপাতালে আনার পর তার শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে মৃত ঘোষণা করা হয়। তার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
সরাইল ২৫ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল ফারাহ মোহাম্মদ ইমতিয়াজ বলেন, যতটুকু খবর পেয়েছি মুরাদ নামে একজন অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে প্রবেশ করেছিল। সে কি কারণে সীমান্ত অতিক্রম করেছিলেন, বিএসএফ তাকে ধরেছে কি না, না অন্য কেউ মেরেছে তা এখনও জানা যায়নি। ঘটনাটির তদন্ত চলছে।
বিজিবির টহল টিমের বরাত দিয়ে তিনি আরো বলেন, মুরাদ ভারতে অবৈধভাবে প্রবেশের পর সুস্থভাবে ফিরে এসেছিল। তখন তাকে দেখতে পেয়ে স্থানীয় একজনের মাধ্যমে বাড়িতে পৌঁছে দেয়া হয়।