জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও খেলাফত মজলিসের মধ্যে সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বিকালে খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এই সংলাপে দুটি দল আটটি বিষয়ে ঐকমত্য পোষণ করেছে। এরমধ্যে ফ্যাসিবাদী দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচারে বিশেষভাবে জোর দিয়েছে দুই দলই। সংলাপে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নাগরিক পার্টি- এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সদস্য সচিব আখতার হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদিব, যুগ্ম আহ্বায়ক ড. আতক মুজাহিদ, যুগ্ম আহ্বায়ক আশরাফ উদ্দিন মাহদি। খেলাফত মজলিসের নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের, নায়েবে আমির মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন, মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, অধ্যাপক আবদুল্লাহ ফরিদ, যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইন, মুহাম্মদ মুনতাসির আলী, ড. মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল, অধ্যাপক মো. আবদুল জলিল, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক কাজী মিনহাজুল আলম, মাওলানা শেখ মুহাম্মদ সালাহ উদ্দিন, সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুর রহমান ফিরোজ, প্রচার সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুল হাফিজ খসরু, উলামাবিষয়ক সম্পাদক মুফতি আলী হাসান উসামা, যুববিষয়ক সম্পাদক তাওহিদুল ইসলাম তুহিন, নির্বাহী সদস্য আমীর আলী হাওলাদার। সংলাপের বিরতিতে অনুষ্ঠিত মিডিয়া ব্রিফিংয়ে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। দ্বি-দলীয় সংলাপে গৃহীত দাবিসমূহ:
১. চব্বিশের জুলাই অভ্যুত্থানে শহিদদের মর্যাদার সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিতে হবে। আহতদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা এবং পারিবারকে পুনর্বাসন করতে হবে।
২. গণহত্যার দায়ে ফ্যাসিবাদী দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচার করতে হবে। বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত করতে হবে ও আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে হবে। এ লক্ষ্যে জুলাই অভ্যুত্থানকালের মতো জাতীয় ঐক্য অটুট রাখতে হবে।
৩. জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকালীন গণহত্যা, শাপলা চত্বরে গণহত্যা, পিলখানায় বিডিআর হত্যাসহ বিগত ১৫ বছরে গুম, খুন, হত্যায় জড়িতদের দ্রুত বিচার করতে হবে।
৪. আলেমণ্ডউলামাসহ রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সব মিথ্যা মামলা দ্রুত প্রত্যাহার করতে হবে।
৫. সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটারে ১৪ টাকা বৃদ্ধি ও শিল্প খাতে নতুন গ্যাস সংযোগে অতিরিক্ত (৩৩ শতাংশ) মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে।
৬. গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যা বন্ধে জাতিসংঘসহ বিশ্ব সম্প্রদায়কে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
৭. ভারতীয় মুসলমানদের সম্পদ লুট ও ধর্মীয় স্থাপনা ধ্বংসের জন্য ভারতের মুসলিম ওয়াকফ সংশোধনী বিল বাতিল করতে হবে। ভারতের সংখ্যালঘু মুসলমানদের উপর জুলুম নির্যাতন বন্ধ করতে হবে।
৮. মৌলিক সংস্কারের জন্য ঐকমত্যের ভিত্তিতে জুলাই সনদ প্রণয়ন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে।