আমদানি করা পণ্যের কিউআর কোড বাধ্যতামূলক করার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। গতকাল রোববার জনস্বার্থে সুপ্রিম কোর্টের ১০ আইনজীবী এ রিট দায়ের করেন। রিটে আমদানি করা পণ্যে ভোক্তা অধিকার রক্ষা, রাজস্ব ক্ষতি প্রতিরোধ এবং জনস্বাস্থ্য ও জনস্বার্থ সুরক্ষার জন্য একটি কেন্দ্রীয় অনলাইন যাচাইকরণ ব্যবস্থা গড়ে তোলা এবং কিউআর কোড সংযুক্তকরণ বাধ্যতামূলক করার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে রিটে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ও জনস্বার্থ পরিপন্থি ঘোষণা করা হবে না এবং কেন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানিয়ে রুল জারির আবেদন জানানো হয়েছে। এই রিট আবেদনে দাবি করা হয়েছে, বাজারে প্রচুর ভুয়া ও অননুমোদিত আমদানি করা পণ্য বিক্রি হচ্ছে, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি এবং এতে সরকার বিপুল রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বিশেষ করে শিশুদের স্বাস্থ্য সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে আমদানি করা প্রতিটি পণ্যে কিউআর কোডের মাধ্যমে যাচাইকরণ সুবিধা নিশ্চিত করা এবং অনুমোদিত আমদানিকারকদের একটি জাতীয় ডাটাবেজ তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হওয়ায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা ও ব্যর্থতাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রিটটি করা হয়।
রিট দায়ের করা ১০ জন আইনজীবী হলেন- মো. মনিরুল ইসলাম মিয়া, মো. রোকনুজ্জামান, রাগিব কবির, আবু শাহেদ, রেহেমিন চৌধুরী, আরফান সুলতানা, মো. সাইফুল ইসলাম, হাসান ইসহাক ভূঁইয়া, মো. আরিফ চৌধুরী এবং উম্মে আইমান জেনিব। এ বিষয়ে আইনজীবী মো. মনিরুল ইসলাম মিয়া বলেন, আমদানি করা পণ্যের সঠিক যাচাইকরণ না থাকায় বাজারে ভুয়া ও ক্ষতিকর পণ্য ঢুকে পড়ছে, যা সরাসরি শিশুদের স্বাস্থ্যকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলছে। একটি কেন্দ্রীয় যাচাইকরণ ব্যবস্থা ও কিউআর কোড বাধ্যতামূলক করলে এই অনিয়ম বন্ধ করা সম্ভব। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব, আমদানি ও রপ্তানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের দপ্তরের (সিসিআইই) প্রধান নিয়ন্ত্রক, আমদানি ও রপ্তানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের দপ্তর (সিসিআইই), জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান, বিএসটিআইসহ মহাপরিচালকসহ ছযজনকে রিটে বিবাদী করা হয়েছে।